গত সপ্তাহে একটানা ভারী বৃষ্টির ফলে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন নদীতে দেখা গিয়েছে জলোচ্ছ্বাস, উত্তরের নানা জেলায় তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি, স্থানীয় নদীতে জল বইছে বিপদসীমার কাছে। আবহাওয়া দপ্তর মারফত পাওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী এই সপ্তাহের শেষেও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে উত্তরবঙ্গে। আসাম-মেঘালয় উভয় রাজ্যের পরিস্থিতি আরও বিপদসংকুল করে তুলবে এই বৃষ্টি। আবহাওয়াবিদদের মতে আগামী কয়েকদিন বিক্ষিপ্তভাবে এই রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বজ্রবিদ্যুৎ সহ ভারী বৃষ্টিপাত হতে চলেছে দক্ষিণবঙ্গেও। বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ স্বাভাবিকের থেকে বেশি, তাই বৃষ্টি না হলে গুমোটভাব থাকবে দিনভর।
এরই মধ্যে আশার খবর শুনিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর, মৌসুমী অক্ষরেখার পূর্ব দিক ধীরে ধীরে এ রাজ্যের উত্তর থেকে সরে আসায় ক্রমেই বর্ষণ নিম্নমুখী হবে সেখানে। বঙ্গোপসাগরে ইতিমধ্যে তৈরি হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত, উপসাগরের উত্তর-পশ্চিম দিকে তৈরি হওয়া আবর্তে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা দক্ষিণের গঙ্গা তীরবর্তী জেলাগুলিতে।
কলকাতায় আজ সকাল পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৮.২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের থেকে যা ১ ডিগ্রী বেশি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৯১ শতাংশ। বিকেল নাগাদ রয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনা।
গতকাল বিকেল অবধি সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩.৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস, এটিও স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্তের ফলে প্রচুর জলীয় বাষ্প প্রবেশ করতে চলেছে এই রাজ্যে, যা পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণের জেলাগুলিতে আপেক্ষিক আর্দ্রতার মান বাড়িয়ে অস্বস্তিজনক গরম তৈরি করবে। সেইসব অঞ্চলে হালকা থেকে মাঝারি দু-এক পশলা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।