দেবীপক্ষ শুরু হল বলে, তাই এখন জি বাংলায় চলছে তার প্রস্তুতি পর্ব। নানা রূপে সেজে উঠছেন আপনাদের পছন্দের সেই সমস্ত তারকারা যাদেরকে আপনি প্রতিদিন দেখেন টিভির পর্দায়। বলা যায় যাদের দৌলতে প্রতি সন্ধ্যায় আপনাদের ড্রইংরুম জমজমাট হয়। জি বাংলায় সম্প্রচারিত প্রতিটি ধারাবাহিকের মুখ্য ভূমিকায় থাকা নায়িকারা দেবীরূপে এই বছরের মহালয়ার ভোরে অবতীর্ণ হবেন।দেবীর নানা রূপ নিয়েই জি বাংলার এবছর মহালয়ার (Mahalaya 2021) নিবেদন ‘নানা রূপে মহামায়া’। আদ্যাশক্তি এবং মা দুর্গা রূপে দর্শকদের জন্য চমক হল, অভিনেত্রী শুভশ্রী গাঙ্গুলী।
এ বছরের মহালয়ায় জি বাংলা উদযাপন করবে আদ্যাশক্তির মহিমা, যিনি মাতৃরূপে আমাদের সৃষ্টিকে ধারণ করেন। জগতে শুভশক্তির রক্ষায় তাঁর শান্ত শিবাণী রূপ, আবার দুষ্টের দমনে তাঁর রুদ্রাণী রূপ। এই ভাবে জি বাংলা দেবী দুর্গার অজানা কাহিনি দর্শকদের সামনে তুলে ধরবে। যার সমাপ্তিতে রয়েছে মহিষাসুর মর্দিনীর সেই চিরন্তন গাথা।
শুভশ্রীকে এ বছরে দেবী দুর্গার চরিত্রে অবতীর্ণ হয়েছে তা সবারই জানা। তবে একথা কি আপনার জানা আছে দেবীর কোন রূপে তাঁকে দেখা যেতে চলেছে?
শুভশ্রীকে মা দুর্গার যে রূপে দেখা যাবে তার নাম ‘আদ্যাশক্তি’। দেবীর আদিরূপ এর নামই ‘আদ্যা শক্তি’। এই রূপে দেবী লাল পাড় সাদা শাড়ি পরিহিতা। দেবীর দুই হাত আশীর্বাদ প্রদান করছেন এবং দিচ্ছে অভয়। দেবীর এই রূপ আরাধনা করলে শুভ শক্তির জন্ম হয় ও প্রকাশ ঘটে শুভ শক্তির। সঙ্গে দূর হয় অশুভ চক্রান্তের প্রভাব।
মা দুর্গার আর এক রূপ অন্নপূর্ণার ভূমিকায় দেখা যাবে ‘কড়িখেলা’র পারমিতাকে। অর্থাৎ শ্রীপর্ণাকে। দেবী অন্নপূর্ণা অন্নের দেবী। ত্রিলোকের মানুষ যখন অন্নাভাবে ক্ষুধার জ্বালায় কষ্ট পান তখন তাদের ক্ষুধা নিবারণে অবতীর্ণ হন দেবী অন্নপূর্ণা।দেবীর মায়ায় মহাদেবের ক্ষুধার জ্বালা এবং ভিক্ষুকরূপে দেবীর কাছে খাদ্যভিক্ষা করার কাহিনি বলা হয়েছে এ বারের গল্পে ।
মা দুর্গার আরেক রুদ্রমূর্তি ছিন্নমস্তার ভূমিকায় দেখা যাবে যমুনা ঢাকির যমুনা অর্থাৎ শ্বেতা ভট্টাচার্যকে। ছিন্নমস্তার এই মুক্তকেশী রক্তবর্ণা ভয়ংকর রূপ আরাধনা করলে সংসারে শান্তি ও শ্রী আসে। ব্যবসা-বাণিজ্যে আসে সাফল্য। বৃদ্ধি পায় ফসল উৎপাদন।
দেবী দুর্গার আর এক ভয়ঙ্কর রূপ এর নাম কালী।ভুঁইয়াকালী রূপে ‘অপরাজিতা অপু’র অপু অর্থাৎ সুস্মিতা । মহাদেবের ভষ্ম থেকে তৈরি ঘোড়াসুরকে বধ করতে পার্বতী ভয়ঙ্করী কালী রূপ ধারণ করেন। শ্যামবর্ণা, মুক্তকেশী, গলায় মুণ্ডমালা পরিহিতা দেবীর এইরূপ মহাদেবের পায়ে অবস্থান করেন।
ললিতা ত্রিপুরেশ্বরীর রূপে দেখা যাবে ‘জীবন সাথী’ ধারাবাহিকের ঝিলম অর্থাৎ শ্রাবণী ভুঁইয়াকে । দেবীর এই রূপের সৃষ্টি হয় ভণ্ডাসুর এবং তাঁর ছেলেদের বধ করতে গিয়ে। দেবী সর্বঅলঙ্কার ভূষিতা ৷ তাঁর আরাধনায় শত্রু বশ হয় ৷ সংসারে শান্তি আসে । দেবীর এই রূপের কুমারী নাম বালা ত্রিপুরাসুন্দরী। দেবীর এই রূপের কুমারী নাম ‘বালা ত্রিপুরাসুন্দরী । এই রূপে দেখা যাবে ‘মিঠাই‘-এর নিপা অর্থাৎ ঐন্দ্রিলাকে।
দেবী দুর্গার পরবর্তী রূপের নাম ‘কমলে কামিনী’। কমলে কামিনী রূপে দেখা যাবে টিআরপি টপার জি বাংলার ‘মিঠাই‘ ধারাবাহিক খ্যাত ‘মিঠাই‘ অর্থাৎ কমলে কামিনী রূপে ধরা দেবেন ‘মিঠাই‘ । অর্থাৎ সৌমিতৃষা । চন্ডীমঙ্গল কাব্যে দেবী কমলে কামিনীর কাহিনি আমরা পাই। তবে এই বৎসর জি বাংলার মহালয়ার গল্পে বর্ণিত হবে পিতা ধনপতি এবং পুত্র শ্রীমন্তর সঙ্গে দেবীর লীলার গল্প । এই দেবী চতুর্ভুজা । দেবী পদ্মের ওপর অধিষ্ঠান করছেন। দেবীর ‘কমলে কামিনী’ রূপ পৃথিবীর সবুজের রক্ষা দায়িনী । তিনি সমগ্র প্রাণীজগত এবং বনভূমিকে রক্ষা করেন।
অসুর শুম্ভ ও নিশুম্ভ ও এবং রক্তবীজকে বধ করতে দেবী যে রূপ ধারণ করেন তার নাম ‘কৌশিকী‘।দেবী কৌশিকী রূপে ধরা দেবেন শ্যামা অর্থাৎ তিয়াসা রায় ৷ এই রুপে দেবী ব্রহ্মরূপিণী শুভ্রবর্ণা, অষ্টভুজা । তিনি প্রসন্ন হলে পরম জ্ঞান প্রদান করেন।
গল্পের শেষ ভাগে উন্নীত হবে মহিষাসুরমর্দিনীর সনাতনী কাহিনী। মা দুর্গা রূপে অবতীর্ণ হবে শুভশ্রী গাঙ্গুলী।
ò