চিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভরতি নিয়ে এবার পড়ুয়াদের সতর্ক করল ‘ইউনিভার্সিটি গ্রান্টস কমিশন’। ইউজিসির তরফে এক বিবৃতিতে জানান হয়েছে ‘অনলাইন মোডে প্রাপ্ত ডিগ্রি গুলিকে স্বীকৃতি দেবে না ইউজিসি’। গতকালই ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের সঙ্গে এক বৈঠকে ‘ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা’ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি জানান এর ফলে বিপাকে পড়তে হচ্ছে হাজার হাজার ভারতীয় পড়ুয়াকে। এক সাংবাদিক বৈঠকে জয়শঙ্কর বলেন, ‘ভারত আশা করছে বেজিং বিষয়টি নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে’।
ভারতীয় দূতাবাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে করোনা মহামারীর কারণে ২০ হাজার মেডিকেল পড়ুয়া ২০২০ সালে দেশে ফিরে এসেছেন। কঠোর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কারণে তখন দেশে বসেই অনলাইন ক্লাসে অংশ নিচ্ছেন তারা। এবিষয়ে পড়ুয়াদের মধ্যেও উদ্বেগের ছবি ধরা পড়েছে। অনেক পড়ুয়া তাদের মেডিকেল ডিগ্রি বাতিলের সম্ভাবনার কথাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না। ন্যাশনাল মেডিকেল কমিশন জানিয়েছে বিদেশী মেডিকেল স্নাতকরা তাঁদের অসম্পূর্ণ ইন্টার্নশিপ ভারতে সম্পূর্ণ করতে পারবে যদি তাঁরা তাঁদের আবেদন জমা দেওয়ার আগে বিদেশী মেডিকেল গ্র্যাজুয়েট পরীক্ষা, একটি স্ক্রিনিং পরীক্ষা, পাস করেন। এব্যাপারে NMC গত গত ফেব্রুয়ারিতেই জানিয়েছে “প্রার্থীদের অবশ্যই ভারতে ইন্টার্নশিপ শেষ করার জন্য আবেদন করার আগে FMGE ক্লিয়ার করতে হবে”।
শুক্রবার UGC-এর উপদেষ্টা কমিটির তরফে ছাত্র ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে জানান হয়েছে, ‘বেশ কয়েকটি চিনা বিশ্ববিদ্যালয় ইতিমধ্যেই পরবর্তী সেশনের জন্য অনলাইন মোডে ভর্তির আবেদন চালু করেছে, এই প্রেক্ষাপটে, শিক্ষার্থীকে সচেতন হতে হবে এবং ভর্তির আগে মনে রাখতে হবে চিন এখনও কঠোর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারী রেখেছে। যার ফলে বিপাকে পড়েছেন কয়েক হাজার ভারতীয় পড়ুয়া।
চাই না ন্যাটোর সদস্যপদ, যুদ্ধ বন্ধ করার আর্জি ইউক্রেন প্রেসিডেন্টের
বিজ্ঞপ্তিতে আরও যোগ করা হয়েছে চিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানান হয়েছে কোর্সগুলি অনলাইন মোডে চালু করা হবে। ইউজিসি এবং এআইসিটিই এই ধরণের কোর্সকে স্বীকৃতি দেবে না”। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “যে সকল পড়ুয়া বিদেশে উচ্চশিক্ষা অর্জনের কথা চিন্তাভাবনা করছেন তাদের সেটিতে ভর্তির আগে যাবতীয় সকল বিষয় ভালভাবে জেনে নেওয়া অত্যন্ত জরুরী।”