Home বিনোদন বাংলার মুখ উজ্জ্বল! আন্তর্জাতিক Haut Monde সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার মঞ্চে কলকাতার মেয়ে পিয়ালী

বাংলার মুখ উজ্জ্বল! আন্তর্জাতিক Haut Monde সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার মঞ্চে কলকাতার মেয়ে পিয়ালী

by banganews

ডেন্টাল সার্জেন, রিসার্চ স্কলার, মেডিক্যাল স্কুলের একজন ফ্যাকাল্টি মেম্বার, নর্তকী, অভিনেত্রী, লেখিকা এবং মডেল — আমেরিকাবাসী প্রবাসী বাঙালী ডঃ পিয়ালী রায় নানা গুণে গুণী। জন্মসূত্রে কলকাতাবাসী, ডঃ রায়ের সৃজনশীল মনন আজ তাঁকে প্রতিভাবান এবং বহুমুখী ব্যক্তিত্বের অধিকারিণী করে তুলেছে। মিসেস ইন্ডিয়া ২০২৩ ফাইনালিস্ট পিয়ালী, তাঁর সাফল্যের মুকুটে আরও একটি রত্ন সংযোজনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। একাধারে ডাক্তার এবং মডেল ডঃ রায় বর্তমানে ভারতীয় বিবাহিত মহিলাদের জন্য আয়োজিত একটি আন্তর্জাতিক সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা, হাউট মন্ডে মিসেস ইন্ডিয়াতেও অংশগ্রহণও করতে চলেছেন।

একজন প্রশিক্ষিত কত্থক এবং ভরতনাট্যম নৃত্যশিল্পী (তিন বছর বয়স থেকে), ডঃ রায় কখনওই তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জনকে কম গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেননি। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডেন্টিস্ট ডিগ্রি শেষ করার পর, তিনি নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টর অফ ডেন্টাল সার্জারি (ডিডিএস) ডিগ্রিও অর্জন করেন। আজ, ডঃ রায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একজন সুপরিচিত ডেন্টাল সার্জেন এবং জনস্বাস্থ্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনকারী। তাঁর দক্ষতা আমেরিকান পাবলিক হেলথ অ্যাসোসিয়েশন (APHA) দ্বারাও স্বীকৃত। এই সংস্থা দ্বারা ২০০৭ সালে সেরা ছাত্রী হিসাবে পুরস্কৃতও হয়েছেন তিনি। পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডেন্টাল হেলথ এবং জনস্বাস্থ্য বিষয়ক জাতীয় সম্মেলনের একজন খ্যাতনামা বক্তাও।

পিয়ালী সমস্ত কাজের মাঝেও সমাজের প্রতি তাঁর কর্তব্য পালন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং ওয়াশিংটন ডিসির সুবিধাবঞ্চিত মানুষের সেবায় নিয়োজিত। তিনি নিজ উদ্যোগে সাধারণ মানুষের জন্য ডেন্টাল ক্যাম্পও করেন আবার তাঁর নেতৃত্বাধীন ‘স্মাইল’ ডেন্টাল বাস প্রবাসের বিভিন্ন পাবলিক স্কুল এবং সুবিধাবঞ্চিত মানুষের সাহায্যেও পৌঁছে যায়। ডঃ রায় আমেরিকান ডেন্টাল অ্যাসোসিয়েশন (ADA) এর পাশাপাশি, ইন্ডিয়ান ডেন্টাল অ্যাসোসিয়েশন (IDA) এবং রোটারি ক্লাবের সাথেও যুক্ত। ইউনিসেফের সাথেও তিনি কাজ করেন।

চিকিৎসা পেশার পাশাপাশি, ডঃ রায় একজন মডেল এবং অভিনেত্রী হিসাবেও নিজেকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন। সম্প্রতি নিউ ইয়র্ক ফ্যাশন সপ্তাহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কর্মরত মহিলাদের নিয়ে আয়োজিত একটি ফ্যাশন শো তে র‍্যাম্পে হেঁটে তিনি দেশ-কালের সীমানা অতিক্রম করে তাঁর সৌন্দর্য এবং ব্যক্তিত্ব দিয়ে বিদেশের মাটিতে নিজের দেশের সংস্কৃতিকেও তুলে ধরেছেন।

দুই বাচ্চার মা, ডক্টর রায় ঋতুস্রাব এবং সে সম্পর্কিত সামাজিক সচেতনতা গড়ে তোলার চেষ্টার পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লিঙ্গ-পক্ষপাতমূলক গোলাপী কর দূর করার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন।

লেখিকা হিসাবেও আত্মপ্রকাশ করতে চলেছেন তিনি। মে মাসে প্রকাশিত হবে তাঁর নতুন বই, ’10 রুলস অফ কনফিডেন্স’। এই বই পাঠকদের অনুপ্রাণিত করবে বলেই তিনি আশা করেন। ডঃ রায়ের কৃতিত্ব এবং সামাজিক অবদান তাঁর কঠোর পরিশ্রমের প্রমাণ, এবং আগামী দিনেও তিনি তাঁর পরিশ্রম দিয়েই সামাজিক কল্যাণ সাধনে নিজেকে নিয়োজিত রাখতে চান।

You may also like

Leave a Reply!