Home প্রযুক্তি সাইবার সেন্সরশিপ বিরোধী দিবস! জেনে নিন বিশ্বের কোন পাঁচটি দেশে নিষিদ্ধ ইন্টারনেট

সাইবার সেন্সরশিপ বিরোধী দিবস! জেনে নিন বিশ্বের কোন পাঁচটি দেশে নিষিদ্ধ ইন্টারনেট

by banganews

পৃথিবীকে হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব। নিমেষেই জেনে নেওয়া যায় অনেক তথ্য। তবে এমন বেশ কিছু দেশ রয়েছে যেখানে ইন্টারনেট পরিষেবা মারাত্মকভাবে সীমাবদ্ধ। এর সাম্প্রতিক উদাহরণ হল, রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণের পরে ফেসবুক এবং প্রধান বিদেশি সংবাদমাধ্যমগুলিকে ব্লক করে দিয়েছে। ১২ মার্চ বিশ্ব জুড়ে পালিত হয় সাইবার সেন্সরশিপ বিরোধী দিবস। এই দিনটি বিভিন্ন ধরণের সরকারি সেন্সরশিপের বিরুদ্ধে কথা বলতে এবং ইন্টারনেট স্বাধীনতার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করতেই পালিত হয়। এই বিশেষ দিনটি। জেনে নিন বিশ্বের পাঁচটি দেশের কথা যেখানে ইন্টারনেট স্বাধীনতা একেবারেই নেই।

* উত্তর কোরিয়া – উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং বিদেশিরা ছাড়া উত্তর কোরিয়ায় ইন্টারনেট ব্যবহার সীমাবদ্ধ। এর পরিবর্তে কোয়াঙ্গমিয়ং নামে একটি জাতীয় ইন্টারনেট পরিষেবা এখানে ব্যবহৃত হয় এবং অল্প সংখ্যক নাগরিকের কাছেই তা অ্যাক্সেসযোগ্য। বৈজ্ঞানিক এবং সরকার সম্পর্কিত বিষয়বস্তুর ওয়েবসাইটগুলিকেই এর মাধ্যমে কেবল অ্যাক্সেস করা যায় এবং কেবল উত্তর কোরিয়াতেই এটি কাজ করে।

* চিন – যাতে দেশের তথ্য বাইরে না যায় বা সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করা না হয় সেই কারণে ব্যাপক ইন্টারনেট সেন্সরশিপ লাগু রয়েছে চিনে। চিনে গুগল, উইকিপিডিয়া, ফেসবুক, টুইটার এবং ইউটিউব অ্যাক্সেসযোগ্য নয়। এমনকি VPN পরিষেবাও নিষিদ্ধ। শাসকের নীতির সমালোচনা করলে নাগরিক এবং সাংবাদিকদের প্রায়ই জেলে বন্দি করা হয়।

* ইরান – ইরানে কঠোর ইন্টারনেট সেন্সরশিপ লাগু রয়েছে। সরকার নিজের শাসনের সমালোচনামূলক বিষয়বস্তু, ধর্ম, রাজনীতি এবং নারী অধিকার সংক্রান্ত বিষয়বস্তু ইন্টারনেটে নিষিদ্ধ করেছে। ইরানে ফেসবুক, টুইটার, টেলিগ্রাম, ব্লগার, স্ন্যাপচ্যাট এবং ইউটিউবের মতো সোশ্যাল মিডিয়াগুলিও ব্লক করা। নেটফ্লিক্সের মতো স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মের পাশাপাশি সংবাদ, খেলাধুলো, বিজ্ঞান এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক, আন্তর্জাতিক কেনাকাটা এবং পর্নোগ্রাফিক সাইটগুলিও বন্ধ এই দেশে।

* সিরিয়া – রাজনৈতিক বিরোধীদের দমন করার প্রচেষ্টায়, সিরিয়ার সরকার দেশে ইন্টারনেটের স্বাধীনতাকে কঠোরভাবে দমন করেছে। নাগরিকদের প্রতি মাসে সীমিত পরিমাণে ডেটা অ্যাক্সেস করার অনুমতি দেওয়া হয় এবং তাঁদের অনলাইন কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করা হয়। শাসকের সমালোচনাকারী সাংবাদিকরা নিয়মিত গ্রেফতার ও নির্যাতনের শিকার হন এখানে।

 

জিম থেকে শুরু করে রাজকীয় বাসভবন! জেনে নিন এই সংশোধনাগারের ঠিকানা

* বেলারুশ – বেলারুশও ইন্টারনেটে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, যার প্রাথমিক উদ্দেশ্য সরকার বিরোধী বিক্ষোভ এবং গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনকে রোধ করা। অনেক স্বাধীন সংবাদ মাধ্যমকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে এই দেশে। দেশের বাইরের বাণিজ্যিক ওয়েবসাইট থেকে কেনাকাটাও নিষিদ্ধ করেছে বেলারুশ।

You may also like

Leave a Reply!