Home দেশ সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় কোপ, বহু পিছনে মোদীর ভারত

সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় কোপ, বহু পিছনে মোদীর ভারত

by banganews

মোদী জমানায় ভারতে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার মলিন ছবি উঠে এল আন্তর্জাতিক সমীক্ষাচিত্রে। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার (Press Freedom) নিরিখে আরও পিছিয়ে পড়ল ভারত। বিশ্ব সংবাদমাধ্যম স্বাধীনতা সূচকের (World Press Freedom Index) নিরিখে ৮ ধাপ নেমে গেল দেশ। ১৮০টি দেশের মধ্যে তালিকায় ভারতের স্থান এখন ১৪২। প্রতিবেশী নেপাল, ভূটান এবং শ্রীলঙ্কা রয়েছে ভারতের আগে। রিপোর্ট বলছে, মোদী জমানায় ক্রমশ সংকুচিত হচ্ছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা।

গোয়ায় সংগঠনে বদল আনছে তৃণমূল, মহুয়ার পর পাঠানো হচ্ছে নতুন পর্যবেক্ষক

সংবাদমাধ্যমের নিরপেক্ষতা, স্বাধীনতা, কাজের পরিবেশ, আইনি বিষয়, বিভিন্ন সূত্র থেকে তথ্য সংগ্রহে স্বচ্ছতা এবং সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের ওপর হামলা বা নিগ্রহের ঘটনা সহ বিভিন্ন দিক বিশ্লেষণ করেই এই সূচক তৈরি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বার্লিন সফরে গিয়ে একাধিকবার ‘নতুন ভারত’ ও ‘উন্নত ভারতে’র কথা প্রচার করছেন। অথচ, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে ভারতের মান ক্রমশই নিম্নগামী। বিরোধীদের কটাক্ষ, মোদীর উন্নত ভারতে তাঁর সমালোচনা করলেই মিডিয়াগুলির স্বাধীনতার ওপর নানাভাবে হস্তক্ষেপ করা হয়।

করোনার সময়কালে সংসদে প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের। তারপর সমস্ত নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলেও এখনও সমস্ত সাংবাদিকের জন্য সংসদের দরজা বন্ধই রয়েছে। রিপোর্টার্স উইদাউট বডার্স-এর সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০১০ সালে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার নিরিখে ভারতের স্থান ছিল ১২২ নম্বরে, ২০১৬ সালে সেই সংখ্যা হয় ১৩৩। ২০২১ সালের সমীক্ষা অনুযায়ী ভারতের সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার সূচক ১৪২। মোদি জমানায় সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার সূচক নিম্নগামী। সংস্থার দাবি, সাংবাদিকদের প্রতি যে ঘৃণা রয়েছে, সেটি ভারতের গণতন্ত্রের অন্যতম ক্ষতিকারক দিক।

যুদ্ধের জেরে ইউক্রেন থেকে রাজ্যে ফেরা পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, দেশে সাংবাদিকদের উপর লাগাতার হামলা চলছে। পাশাপাশি, সংবাদমাধ্যমের উপর রাজনৈতিক চাপ তৈরি করা হচ্ছে। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, গণতান্ত্রিক দেশের জাতীয়তাবাদী বা একনায়কতান্ত্রিক সরকার সংবাদমাধ্যমের উপর চাপ তৈরি করছে। তাদের কণ্ঠরোধ করছে। রিপোর্টে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং তাঁর অনুগামী ‘ভক্তদের’ কথাও উঠে এসেছে। লেখা হয়েছে, প্রথম থেকে মোদী মনে করেন কিছু সাংবাদিক মোদী এবং তাঁর অনুগামীদের মধ্যের সম্পর্ক নষ্ট করতে পারে। যে সমস্ত সাংবাদিক কেন্দ্রীয় সরকার এবং মোদীর সমালোচনা করেছেন, তাঁদের নানারকমভাবে হেনস্তা, এমনকী মারধরও করেছে নরেন্দ্র মোদীর অনুগামী ভক্তরা।”

You may also like

Leave a Reply!