যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে প্রাণ বাঁচাতে দেশে তথা রাজ্যে ফিরে এসেছেন সেদেশে ডাক্তারির পড়ুয়ারা। কিন্তু তারপরই প্রশ্ন ওঠে, এই পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ কী হবে? তাঁদের কেরিয়ার যাতে স্রেফ যুদ্ধের কারণে নষ্ট না হয়, তার জন্য এগিয়ে আসেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ইউক্রেন ফেরত পড়ুয়াদের সঙ্গে মার্চ মাসে ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে দেখা করে রাজ্যে তাঁদের পড়াশোনার ব্যবস্থা করার আশ্বাস দেন। জানান, কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানাবেন তিনি। তবে একমাসেরও বেশি সময় কেটে যাওয়ার পর কেন্দ্রের তরফে কোনওরকম সাড়া না পাওয়ায় ফের নতুন করে ইউক্রেন ফেরতদের জন্য সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। রাজ্যেরই বিভিন্ন বেসরকারি কলেজে তাঁদের ভর্তির ব্যবস্থা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
নবান্নে বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী জানান,
• ইউক্রেন থেকে ৪২২ জন ছেলেমেয়ে ফিরেছেন। ১৬ মার্চ তাঁদের জন্যে কথা বলেন মুখ্য়মন্ত্রী। কিন্তু কেন্দ্র পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়ায়নি। তাঁদের সব ডিটেলস কালেক্ট করা হয়।
• ৬ জন ইঞ্জিয়ারিং পড়ুয়াদের বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ জেআইএস-এ ভর্তি করা যাবে। ৬ জনের মধ্যে ২ জন ইতিমধ্যে ভর্তি হয়েছেন।
উন্নয়ন এবং প্রসারের নিরিখে দেশে সেরা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
• ডেন্টাল স্টুডেন্ট সরকারি ডেন্টালে একজন, বাকি দুজন সরকারি ডেন্টাল কলেজে ইন্টার্নশিপের সুযোগ পাবেন।
• ভেটেরিনারির এক পড়ুয়া বেলগাছিয়া প্রাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছেন।
• ডাক্তারি পড়তে ওদেশে ৬ বছর লাগে। ৪১২ জন মেডিক্যাল স্টুডেন্ট ফিরেছেন ইউক্রেন থেকে।
• সিক্সথ ইয়ারের ২৩ জনকে ইন্টার্নশিপের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
• ফোর্থ ও ফিফথ যথাক্রমে ৯২ ও ৪৩ মোট ১৩৫ জন বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে সেকেন্ড ও থার্ড ৭৯ ও ৯৩ মোট ১৭২ জন প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস করার জন্য সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ব্যবস্থা করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
• ফার্স্ট ইয়ারের ৬৯ জন পড়ুয়াকে বেসরকারি ও ম্যানেজমেন্ট কোটায় কাউন্সেলিং করার জন্য সুযোগ দেওয়া হয়েছে। ফি কমানোর জন্যও বলা হয়েছে।