Home পৌরাণিক কাহিনী রহস্যময় কৈলাস মন্দিরের কিছু অজানা কাহিনি

রহস্যময় কৈলাস মন্দিরের কিছু অজানা কাহিনি

by Webdesk

ভারত এক বর্ণ ও বৈচিত্র্যময় দেশ। বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষের বসবাস আমাদের শস্য শ্যামলা জন্মভূমিতে। এই মাটিতে তাই ধর্মস্থানের সংখ্যা প্রচুর ও তাদের গুরুত্ত্ব ও অপরিসীম। প্রাচীন এই ধর্মের পীঠস্থান গুলি ইতিহাসের জীবন্ত সাক্ষী। অজ্ঞাত সময় থেকে দাঁড়িয়ে থাকা বেশিরভাগ এই স্থান গুলিতেই লুকিয়ে আছে রহস্য। প্রতিটি দেবালয়ের নিজস্ব গুরুত্ব রয়েছে। তবে ভারতের কৈলাস মন্দির তাঁর নিজস্বতায় অদ্বিতীয়। এটি ভারতের সবচেয়ে বৃহৎ পাথর কেটে বানানো মন্দির।

মহারাষ্ট্রের অজন্তা ইলোরা মন্দিরের কাছে অবস্থিত এই মন্দির প্রতিষ্ঠার সন কাল কিছুই জানা যায় না। কিছু বিজ্ঞানী এটাকে ১৯০০ বছরের পুরোনো মনে করেন। আবার কেউ কেউ ৬০০০ বছরের পুরোনো ও মনে করেন। যেটুকু জানা যায় এই মন্দির পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণ করে তা ঐতিহাসিক ও স্থপতিবিদ সকলের কাছেই বিস্ময়ের উদ্রেগ করে। কারণ ইমারত সাধারণত পাথর কেটে পাথরের অপর পাথর বসিয়ে প্রস্তুত হয়। ইজিপ্টের পিরামিড, চিনের প্রাচীর সব তৈরি হয়েছে এই নীতিতেই। কিছু আশ্চর্যের বিষয় হল এই বিশাল কৈলাস মন্দির তৈরি হয়েছে একটি মাত্র পাথর কেটে। ৪ লক্ষ টন পাথর কীভাবে কাটা হল ১৮ বছরে (ঐতিহাসিকদের মতে মাত্র ১৮ বছরে তৈরি হয়েছে এই মন্দির) তার উত্তর কারো কাছে নেই। আজকের মতো প্রকৌশল বিদ্যা, আধুনিক যন্ত্র কিছুই ছিল না সেসময়। তাই অনেকের বিশ্বাস এই মন্দির মানুষ তৈরি করেছিল দৈবিক বা অপার্থিব শক্তির সাহায্য নিয়ে।

আরো পড়ুন:- রবিবারের ভাগ্যে কি আছে? জেনে নিন আজকের রাশিফল

গবেষকরা বলছেন ৫ টন করে পাথর প্রতি ঘণ্টায় সরালেও আধুনিক যন্ত্রপাতি, সফটওয়্যার এর সাহায্য পেলেও আজকেও এরকম বিশাল নির্মাণকার্য সম্পাদন করা অসম্ভব। শুধু পাথর কাটা নয়, মন্দিরে রয়েছে খোদাই করে ফুটিয়ে তোলা নিপুণ ভাস্কর্যশিল্প। এমন সুন্দর পিলার, দ্বার, মূর্তি, গুহা প্রস্তুত করতেই লেগে যাবে কয়েক দশক। মন্দিরের মধ্যে জলনিকাশী ব্যবস্থা ও এক মন্দির থেকে অন্য মন্দিরের যাবার পুল প্রমাণ করে যে নির্মাণকারী সময়ের থেকে অনেক এগিয়ে ভাবতেন। মন্দিরের মধ্যে রয়েছে অসংখ্য চোরা গুহা যেগুলির অন্য প্রান্তগুলি কোথায় উন্মুক্ত হয়েছে তা কেউ জানে না। এক কথায় মন্দিরের নকশা খুবই জটিল।

আরো পড়ুন:- ২০০ কোটি টাকার ভূতের বাড়ির রহস্য

১৮৭৬ সালে ইংল্যান্ডের ইমান হেনরিক একটি বই লিখেছিলেন, যাতে সেই গুহাটির ব্যাপারে কিছু বর্ণনা করে গিয়েছিলেন। তিনি কৈলাশ মন্দিরের গুহা টি পরীক্ষা করেছিলেন। গুহার মধ্যে তিনি সাত জন মানুষএর সামনে এসেছিলেন যারা মুহূর্তেই অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল।

১৬৮২ সালে মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব ১০০০ সৈন্য নিয়ে এই হিন্দু মন্দির আক্রমণ করে ধ্বংসের অভিপ্রায় নিয়ে। ৩ বছর চেষ্টা করেও তিনি মন্দিরটিকে ধুলোয় মিশিয়ে দিতে পারেননি। তারপর নিজে থেকেই তাঁর অসাধু কাজ বন্ধ করেন।

You may also like

Leave a Reply!