Home কলকাতা সুন্দরবনের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন মোহনবাগানের শিল্টন

সুন্দরবনের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন মোহনবাগানের শিল্টন

by banganews

বছরের পর বছর ধরে গড়ে তোলা ঘর সংসার স্বপ্ন সবকিছু তছনছ করে দিয়েছে মুহূর্তে বিধ্বংসী সাইক্লোন।
অবস্থাটা যে কতটা সঙ্গীন ওখানে না গেলে বোঝানো যাবে না। মানুষ কোনমতে বেঁচে আছে। কারো শেষ সম্বল বাড়িটুকুও আজ চুরমার হয়ে মাটিতে পড়ে আছে।
লকডাউন। কাজ নেই। রোজগার নেই।
ধ্বংসস্তুপ থেকে উঠে দাঁড়িয়ে ফের গড়ে নিতে হবে ঘর সংসার জীবন৷ সকলে মিলে চেষ্টা করলে আশা রাখি জীবনের এই লড়াইতে সব্বাই অন্ধকার মুছে আলোয় ফিরব।
সরকার কাজ করছেন৷ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, সাধারণ মানুষও এগিয়ে এসেছেন৷ এসেছেন মোহনবাগানের গোলকিপার শিল্টন পাল৷ নিজে গিয়ে সুন্দরবনের মানুষের অবস্থা দেখে এসেছেন৷ ত্রাণ সংগ্রহ করে পৌঁছে দিতে যাচ্ছেন। এই যাত্রাপথেই আমাদের প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলেন শিল্টন পাল।

আরও পড়ুন পরিযায়ী শ্রমিকদের কাছে দেবতা সোনু সুদ, বাড়ি ফেরালেন ২০০ ইডলি বিক্রেতাকে

 

চারপাশের মানুষ যখন করোনার ভয়ে যতটা সম্ভব বাড়িতে থাকার চেষ্টা করছেন সেই সময় অসহায় মানুষদের জন্য এতদূর যাচ্ছেন । ব্যক্তিগত উদ্যোগে এই বিপুল কর্মকাণ্ডের তদারকি করছেন । এই উদ্যোগ নেওয়ার কারণ কী জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, এখনকার সময় আমাদের প্রত্যেকের এটা সামাজিক কর্তব্য।আমরা অত্যন্ত খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। সবাই কিন্তু আমাদের যাদের অন্তত ঠিকঠাক থাকার জায়গা আছে, খাবার আছে তাদের তুলায় কিছু
মানুষের অবস্থা এমন যে তাদের ঠিকঠাক থাকার জায়গা বা খাবার কিছুই নেই। আমার মনে হয় তাদের পাশে থাকাটা এখন আমাদের প্রত্যেকেরই সামাজিক কর্তব্য । অনেকেই চেষ্টা করছেন সুন্দরবনের মানুষের পাশে
থাকার , যত বেশি মানুষ এগিয়ে আসবেন ততই ভালো । সেজন্যই আমরা বন্ধুরা মিলে চেষ্টা করছি ।

তিনি জানান তার বন্ধুরা, দাদা ,তার স্ত্রী এবং পরিবারের সবাই মিলেই কাজটা করছেন। তার কিছু বন্ধু যারা বিদেশে আছেন ,অনেক মানুষ যাদের চেনেন না ,তারাও বিদেশ থেকে শিল্টনের সঙ্গে যোগাযোগ করে হেল্প করছেন। কলকাতার বাইরে আছেন এমন অনেকেও যোগাযোগ করে সাহায্য করেছেন। শিল্টন আগে একদিন সুন্দরবন গিয়েছিলেন। পুলিশ আর মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলে ত্রাণ পৌঁছোনোর পরিকল্পনা করে এসেছিলেন৷ আমাদের প্রতিনিধির সঙ্গে যখন কথা বলেন তখন শিল্টন সুন্দরবনের পথে রওনা দিয়েছেন, রাস্তায় যেতে যেতে জানান,দুদিন থাকবেন, দুদিন থেকে
৫০০ পরিবারকে আপাতত চাল, ডাল, মুড়ি, বিস্কুট,চিড়ে, ছাতু এসব দেওয়া হচ্ছে৷ এরপর ডাক্তারদের সঙ্গে নিয়ে মেডিক্যাল ক্যাম্প করার পরিকল্পনা আছে । এবং আরও কিছু ফ্যামিলিকে সাহায্য করার চেষ্টা করবেন । বর্তমানে ওখানকার অবস্থা কেমন জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন,
খুবই খারাপ অবস্থা । বুলবুলের পর অনেকেই আবার চাশাবাদ করার চেষ্টা করবেন ভেবেছিলেন, গেলে প্রায় দ্দু তিনবছর সময় লাগে আবার নতুন করে চাষ করতে ।

আরও পড়ুন কৃষ্ণনগরের ঘূর্ণিতে আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পাশে দাঁড়ালো স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ।

আম্ফানের জন্য চাষের জমিতে নোনা জল ঢুকে গেছে ।এখন আর চাষ করতে পারবে না । গাছপালাও সব নষ্ট হয়ে গেছে । প্রচুর ঘরবাড়ী ভেঙে গেছে ,বহু মানুষ ঘরছাড়া , এখনও বাড়িতে ঢুকতে পারেনি ।প্রচুর ত্রিপল
দরকার কিন্তু ততটা পাওয়া যাচ্ছে না । ত্রিপল মেডিসিন এগুলো খুব দরকার । গোসাবা , পাথরপ্রতিমা, জি প্লট আছে আরও বেশ কিছু জায়গা আছে যেখানে এখনো সেভাবে এ্যাক্সেস নেই ফলে যাওয়া মুশকিল
হচ্ছে ,সেই জায়গাগুলো যদি সরকার বা অন্য কোনোভাবে যাওয়া যায় সেটা করতে পারলে মনে হয় খুব ভালো হবে ।

You may also like

Leave a Reply!