স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাওড়ায় খুলল একাধিক জুটমিল। দুমাসের ওপর বন্ধ থাকার পর আজ হাওড়ার একাধিক জায়গায় জুট মিল খোলা হল। প্রসঙ্গত করোনা প্রকোপে হাওড়া রেড জোন হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। সেইসব বাঁধা কাটিয়ে আজ থেকে খোলা হল জুটমিল। ১০০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজের কথা বলা হলেও লকডাউনের ফলে অনেকেই হাজিরা দিতে আসতে পারেননি। সড়ক পরিবহন সচল হলেও ট্রেন এখনও চালু হয়নি আর সেই কারণে অনেক কর্মচারী হাজিরা দিতে পারেননি। আবার অনেকে লকডাউনের কারণে দেশের বাড়ি চলে গিয়েছেন তাই তারাও হাজিরা দিতে পারেননি। কিন্তু যতটুকু উপস্থিতি ছিল স্বাস্থ্যবিধি মেনেই চালানো হয়েছে জুটমিল গুলো।
আরও পড়ুন ধাপে ধাপে তিনটি পর্যায়ে আনলক প্রক্রিয়া কার্যকরী হবে জানা যাচ্ছে
সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা হয়েছে। প্রতিটা ক্ষেত্রে স্যানিটাইজ করা হয়েছে কর্মচারীদের। হ্যান্ডগ্লাভস ও মাক্স ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। জুটমিলে প্রবেশের সময় হ্যান্ডসানিটাইর্জাস দিয়ে হাত ধুয়ে কর্মীদের প্রবেশ করানো হচ্ছে। প্রতিটি মেশিনের সামনে প্রবেশের আগে স্যানিটাইজ করে নেওয়া হচ্ছে কর্মীদের। জুটমিল পরিস্কারের ক্ষেত্রেও সামাজিক বিধি মেনে চলতে হচ্ছে। প্রবেশের সময় থার্মাল স্ক্রিনিং করে নেওয়া হচ্ছে প্রত্যেক কর্মচারীকে। তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে প্রতেকের। সমস্ত রকম বিধিনিষেধ মেনেই চালু করা হয়েছে হাওড়ার একাধিক জুটমিল।
আরও পড়ুন আনলক ১ এর প্রথম দিন থেকেই পুরোনো মেজাজে শহর কলকাতা
নিয়মের ঘেরাটোপে কাজ শুরু হয়েছে জুটমিল গুলোতে। এতদিন পর কাজে যোগ দিতে পেরে খুশী কর্মচারীরাও। প্রসঙ্গত লকডাউন ৫ এর মধ্যেই আনলক হচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা। ইতিমধ্যে শহরের রাস্তায় নেমেছে বাস থেকে অটো। সরকারী ও বেসরকারী অফিস খোলা হচ্ছে কলকাতার সমস্ত জায়গাতেই। ধীরে ধীরে অনেকটাই স্বাভাবিক হতে চলেছে পরিষেবা।