নির্দিষ্ট ডায়েট বলে কিছু হয় না। দেহের গঠন, কাজের ধরনের ওপর তা নির্ভরশীল। তাই হাতুড়ের পরামর্শে ডায়েটিং করলেই সর্বনাশ।
লকডাউনে বাড়িতে বসে মোটা হয়ে গেছেন অনেকেই। এবার ওজন ঝরানোর চিন্তা।
মেয়েরা আবার এখন স্বাস্থ্যের চেয়ে চাহিদাকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন৷ তার মধ্যে সবচেয়ে বড় চাহিদা হল ‘ওয়েট লস’৷ স্লিম-ট্রিম থাকতে চান সক্কলে৷ কিন্তু তার জন্য একটা সঠিক বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি রয়েছে ৷ ইচ্ছেমতো ডায়েট কিংবা খেয়ালখুশি মতো ব্যায়াম করলে তাতে লাভের চেয়ে ক্ষতিই হবে বেশি ৷
সারা বিশ্ব জুড়ে ডায়েটেশিয়ানরা ঠিক সেই কথাটাই বোঝাতে চাইছেন ৷ কারণ পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ‘ভুয়ো’ বা হাতুড়ে ডায়েটেশিয়ানদের সংখ্যা ৷ যারা এই লকডাউনের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়াকেই হাতিয়ার করেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন ৷ ১৫ দিনে ১৫ কেজি ওয়েট লস ! হ্যাঁ ঠিক এমন জিনিসই ভিডিওতে দেখানো হচ্ছে ৷ অনেকরা সেই পদ্ধতি অনুসরণ করে ফলও পেয়েছেন ৷ কিন্তু সেই ফল অদূর ভবিষ্যতের জন্য কতটা লাভজনক, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছেই ৷
আসলে মনে করি, নিজেরাই সব কিছু জানি। তার উপর রয়েছে গুগল, ইন্সটাগ্রাম, ফেসবুক, ইউটিউবের মতো গুচ্ছ অপশন, এগুলো থেকে জ্ঞান অর্জন করে নিজের এবং আরও পাঁচজনের উপকার করার নামে আদতে যে কী পরিমাণ ক্ষতি করছি প্রতিনিয়ত, সেটা কি বুঝি! নাহ! বুঝি না, উল্টে মুড়ি-মুড়কির মতো ছড়িয়ে থাকা ইউটিউব চ্যানেল গুলোতে ভিউ বাড়িয়ে চলেছি অনরবরত। হয়তো অনেকেই জানেন না, প্রত্যেকটা দেহের ডায়েট আলাদা হয়। প্রত্যেকটা দেহের উচ্চতা, ওজন, দৈনিক পরিশ্রমের হার এসব অনুযায়ী প্রত্যেকের ডায়েট আলাদা হয়। এছাড়া আমাদের শরীরে নানা রকম রাসায়নিক বিক্রিয়া প্রতিনিয়ত ঘটছে, আর সবার শরীরে এই বিক্রিয়ার হার সমান নয়। যাকে বলে মেটাবলিজম রেট। আপনার মেটাবলিজম রেট কেমন, সেটাও আপনার খাদ্যাভ্যাস বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের কো-মরবিডিটিস তো রয়েইছে। গ্রহণে সে ক্ষেত্রে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে !
আরও পড়ুন : কীভাবে বুঝবেন আপনার মনখারাপ নয়,ডিপ্রেশন নামের একটা অসুখ হয়েছে? কী বলছেন ডাক্তার মৈনাক পাল?
এই ভুল ডায়েটের পর হয়তো নানাবিধ সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। তাই লকডাউনে ওজন যতই বাড়ুক না কেন, তা কমাতে গেলে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি মানা উচিত। অন্যথায় বিপদ অনিবার্য।