Home বঙ্গ করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে অভিনব পরীক্ষা পদ্ধতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে

করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে অভিনব পরীক্ষা পদ্ধতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে

by Webdesk

করোনা সংক্রমণ থেকে আমাদের দেশ এখনো মুক্ত হয়নি৷ দীর্ঘ দুই মাসের বেশি সময় লকডাউন চলার পর সরকারি নির্দেশ মেনেই ৮ জুন থেকে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় খুলছে৷ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় করোনা পরবর্তী পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে আগামী দিনে পঠনপাঠন সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷
বলা হয়েছে সপ্তাহে তিনদিন সোম বুধ শুক্র পরীক্ষা নিয়ামকের দপ্তর খোলা থাকবে৷ মঙ্গল এবং বৃহস্পতিবার খোলা থাকবে পিএইচডি সেল। উপাচার্যের দপ্তর খুলবে প্রয়োজনমাফিক ।
বিশ্ববিদ্যালয় স্যানিটাইজ করার পাশাপাশি স্যানিটাইজার মেশিন লাগানো হয়েছে৷ কর্মীদের জন্য খোলা থাকবে একটি ক্যান্টিন৷

আরো পড়ুন – করোনা চিকিৎসায় নতুন হাতিয়ার হতে পারে গাঁজা

অনলাইন শিক্ষাব্যবস্থা সমস্ত ছাত্রের পক্ষে সম্ভব নয়৷ প্রত্যন্ত এলাকা থেকে পড়তে আসা ছাত্রটির কাছে স্মার্টফোন কেনার সাধ্য নাও থাকতে পারে৷ আবার নেটওয়ার্ক সমস্যাও হতে পারে৷ দৃষ্টিহীন ছাত্রছাত্রীরা রাইটারের সাহায্যে পরীক্ষা দেন। তাই সমস্ত দিক বিবেচনা করে উপাচার্য সুরঞ্জন দাস জানিয়েছেন প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালিয়ের গাড়ি ছাত্রদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাতাপত্র সংগ্রহ করে আনবে৷ খাতা জীবাণুমুক্ত করার পর পরীক্ষকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে৷

আরো পড়ুন – করোনা চিকিৎসায় নতুন হাতিয়ার হতে পারে গাঁজা
কেবল সুন্দরবন নয় আশেপাশের রাজ্য এমনকি কাশ্মীরের কিছু পড়ুয়া আছেন যাদবপুরে যারা অনেকেই ফিরে গিয়েছেন৷ তাই উপাচার্য জানান দূরের জন্য কুরিয়ার সার্ভিস এবং কাছাকাছি জেলার মধ্যে প্রশাসনিক সাহায্যে উত্তরপত্র সংগ্রহ করার কথা ভাবা হচ্ছে৷

আরো পড়ুন – উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার বাকিগুলি হবে জুলাইতে

বাংলা এডুকেশন ফিজিক্স এবং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ছাত্রদের তালিকা প্রস্তুতের কাজ চলছে৷ একজন ছাত্রের মূল্যায়নেও যাতে অসুবিধে না হয় সেদিকে নজর রাখবে বিশ্ববিদ্যালয়। আফসুর তরফে রাইটার্স ব্যাঙ্ক বানানোর কথা ভাবা হচ্ছে যাতে দৃষ্টিহীন ছাত্রদের প্রজেক্ট ফোনে শুনে শুনে রাইটার লিখতে পারেন৷
বাংলা বিভাগের এক ছাত্র জানান তিনি হাসনাবাদ থেকে ১৫ কিমি দূরে বিষ্ণুপুর গ্রামে থাকেন৷ বই খাতা হস্টেলেই রয়ে গেছে৷ বিভাগের মাস্টারমশাই রাজ্যেশ্বর সিনহা ছাত্রের ঠিকানায় বইপত্র পাঠানোর চেষ্টা করছেন৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা এবং মূল্যায়ন সংক্রান্ত সিদ্ধান্তে আশ্বস্ত ছাত্র৷

You may also like

Leave a Reply!