Home দেশ দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ আমরা সবাই চিনি৷ কিন্তু কবি চিত্তরঞ্জনকে চিনি আমরা?

দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ আমরা সবাই চিনি৷ কিন্তু কবি চিত্তরঞ্জনকে চিনি আমরা?

by banganews

দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ- নাম বললেই আমরা সবাই চিনি৷ কিন্তু কবি প্রাবন্ধিক চিত্তরঞ্জনকে চিনি আমরা? আজ তাঁর প্রয়াণদিবসে ফিরে দেখি সেই কবিকে, পড়ি সেই সব কবিতা
সায়নী মুখার্জী

উদার মতবাদ ও দেশভক্তির কারণে তিনি হিন্দু মুসলমান সকলের শ্রদ্ধা ও ভালবাসা অর্জন করেন এবং তার এই উদার মতবাদের জন্য জনগণ তাকে দেশবন্ধু খেতাবে ভুষিত করেন। যাকে আদ্যপান্ত রাজনীতিক, আইনজীবী হিসেবে আপামর দেশবাসী চিনেছেন তার মধ্যেকার কবিকে চেনেন কতজন? আজ তার মৃত্যুদিনে সেই অনালোচিত উপক্ষিত কবিকেই বরং ফিরে দেখি৷

চিত্তরঞ্জনের রাজনীতিক বা দেশনেতা পরিচয়টি পরবর্তীকালে তাঁর অন্য সব পরিচয়কে ছাড়িয়ে গেলেও, তাঁর রাজনৈতিক জীবন ছিল অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত, মাত্র ছয়-সাত বছরের। লন্ডনের মিডল টেম্পল থেকে ব্যারিস্টারি পাশ করে ফেরার (১৮৯৪) পর চিত্তরঞ্জনকে হাইকোর্টে আইন ব্যবসায় যোগ দিতে হয়। দেশবাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি ব্রহ্মবান্ধব উপাধ্যায় ও বিপিনচন্দ্র পালের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহ মামলায় তাঁদের এবং পরে বিখ্যাত আলিপুর বোমার মামলায় অরবিন্দ ঘোষ ও তাঁর সঙ্গীদের পক্ষ সমর্থন করে।
সাহিত্যের প্রতি অনুরাগ বিষয়টি চিত্তরঞ্জন দাশ বলা যায় উত্তরাধিকার সূত্রেই পেয়েছিলেন। তাঁর পিতামহ জগদ্বন্ধু দাশ ও পিতা ভুবনমোহন দাশ উভয়েই কাব্যচর্চা করতেন। তাঁর স্কুল জীবনের সহপাঠী শরৎচন্দ্র রায় চৌধুরীর ভাষায় ‘চিত্ত ছোটোবেলা থেকেই কবিতা লিখত’ (অপর্ণা : ২১) সক্রিয় রাজনীতিতে পুরোপুরি জড়িয়ে পড়ার আগ পর্যন্ত, তাঁর সাহিত্যচর্চা অব্যাহত ছিল। এই পর্বে সুরেশচন্দ্র সমাজপতি-সম্পাদিত সাহিত্য ছাড়াও নির্মাল্য, মানসী  প্রভৃতি পত্রিকায় চিত্তরঞ্জনের লেখা প্রকাশিত হয়।
এ পর্যায়ে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির খামখেয়ালি ক্লাবের সভ্য ছিলেন চিত্তরঞ্জন। সেই সূত্রে রবীন্দ্রনাথ ছাড়াও অবনীন্দ্রনাথ, গগনেন্দ্রনাথ, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, অতুলপ্রসাদ সেন, প্রমথ চৌধুরী, প্রমুখের সঙ্গে তিনি সাহিত্যপাঠ ও সংগীতচর্চায় অংশ নেন। ১৯১১ সালে চিত্তরঞ্জন যখন দ্বিতীয়বার বিলেত যান তখন রবীন্দ্রনাথ, ইয়েটস ও রদেনস্টাইনকে নিয়ে তাঁর বাড়িতে নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে এসেছিলেন। সেদিন রবীন্দ্রনাথ সেখানে ‘সোনার তরী’সহ তাঁর কয়েকটি কবিতা আবৃত্তি করে শোনান। রবীন্দ্রনাথের অনুরোধে চিত্তরঞ্জন দাশও তাঁর সাগর-সঙ্গীত-এর পাণ্ডুলিপি থেকে কয়েকটি কবিতা পড়ে শুনিয়েছিলেন। চিত্তরঞ্জন-কন্যা অপর্ণার হিন্দুরীতিতে বিয়েদানের (১৯১৬) ঘটনায় ক্ষুব্ধ ব্রাহ্মসমাজের নেতারা সে-বিবাহ অনুষ্ঠান বর্জন ও চিত্তরঞ্জনকে একঘরে করার আহ্বান জানানোর পরও ব্রাহ্মসমাজের যাঁরা সেই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ছিলেন তাঁদের অন্যতম। (অপর্ণা : ১০৬) সুতরাং রবীন্দ্রনাথ-চিত্তরঞ্জনের পারস্পরিক বিরূপতার যে সংবাদটির সঙ্গে আমরা পরিচিত, নিঃসন্দেহে বলা যায়, তার সূত্রপাত আরও পরে।
চিত্তরঞ্জন দাশের কবিতা প্রথম প্রকাশিত হয় নব্যভারত পত্রিকার ফাল্গুন ১২৯৫ সংখ্যায়। কবিতার নাম ‘বন্দী’। প্রথম কাব্যগ্রন্থ মালঞ্চ( ১৮৯৬), প্রকাশক সুরেশচন্দ্র সমাজপতি। বিষয়বস্তু মানবিক প্রেম। যেমন : তোমার ও প্রেম, সখী! তোমারি মতন,/অনন্ত  রহস্যময় সৌন্দর্যে মগন/অধর প্রশান্ত ধীর,/আঁখি কৃষ্ণ সুগভীর,/পুষ্পিত হৃদয় তীর, সৌরভ স্বপন।
এরই পাশাপাশি ‘ঈশ্বর’, ‘বারবিলাসিনী’, ‘সোহং’ ও ‘অভিশাপে’র মতো কয়েকটি ভিন্নধর্মী কবিতাও রয়েছে তাঁর এ-বইটিতে। চিত্তরঞ্জন-কন্যা অপর্ণা দেবী লিখেছেন, ‘বাবা ‘ঈশ্বর-বিদ্রোহী’ ও ‘মাতাল’ আখ্যা এই সমাজ থেকে পেয়েছিলেন তাঁর মালঞ্চতে প্রকাশিত ‘ঈশ্বর’ ও ‘বারবিলাসিনী’ কবিতার জন্য।’ (অপর্ণা : ২৮) শুধু তাই নয়, চিত্তরঞ্জনকে এ-সময় এ মর্মে একটি লিখিত স্বীকারোক্তিও দিতে হয়েছিল যে, তিনি ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন। (অপর্ণা : ২৯) তো কী লিখেছিলেন চিত্তরঞ্জন তাঁর ‘ঈশ্বর’ কবিতায় “হায়! হায়! মিথ্যা কথা; ঈশ্বর! ঈশ্বর!/…ধরণীর আর্ত্তনাদ শুনি না শ্রবণে!/ ঊর্দ্ধ মুখে চেয়ে থাকি, ডাকি নিরন্তর/ শতবার প্রতারিত কাঁদি, মনে মনে।”
চিত্তরঞ্জনের দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ মালা ( ১৯০২, মতান্তরে ১৯০৪)। কবিতার বিষয় মানবিক প্রেম। তাঁর তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ সাগর সঙ্গীত প্রকাশিত হয় ১৯১১ সালে। দ্বিতীয়বার বিলাত যাত্রাকালে সমুদ্রবক্ষে এর কবিতাগুলো লেখার সূত্রপাত।সমুদ্র এখানে অসীমের প্রতীক হয়ে তাঁকে হাতছানি দেয়, যার মুখোমুখি হয়ে কবির উচ্চারণ, ‘হে মোর আজন্ম সখা! কাণ্ডারি আমার/ আজ মোরে লয়ে যাও অপারে তোমার। চতুর্থ কাব্যগ্রন্থ অন্তর্যামীতে (১৯১৪) এসে চিত্তরঞ্জনকে আমরা পাই বৈষ্ণব কবিদের উত্তর-সাধক হিসেবে, পরমাত্মার সঙ্গে জীবাত্মার মিলনের আকাক্সক্ষাই যার কাব্যসাধনার মূল প্রেরণা।সর্বশেষ কাব্যগ্রন্থ ‘কিশোর-কিশোরী’তে (১৯১৫) দেহাতীত, কাম-গন্ধহীন এক প্রেমের জন্য আকুতি ব্যক্ত হয়েছে। যেমন :কাছে কাছে নাই-বা এলে, তফাত থেকে বাসব ভালো/দুটি প্রাণে আঁধার মাঝে প্রাণে প্রাণে পিদিম জ্বালো!/এপার থেকে গাইব গান, ওপার থেকে শুনবে বলে;/মাঝের যত গণ্ডগোল ডুবিয়ে দেব গানের রোলে। “এই শেষ কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশের পর চিত্তরঞ্জন কাব্যচর্চা প্রায় ছেড়ে দেন এবং রাজনীতি বা দেশের কাজে পুরোপুরি আত্মনিয়োগ করেন।

আরও পড়ুন প্রায় একশো বছর আগে ঘটে যাওয়া ‘স্প্যানিশ ফ্লু’র স্মৃতি উস্কে দিল একবিংশ শতকের মহামারী ‘করোনা’

দেশমাতৃকার আহ্বানে তিনি যখন রাজনীতিতে পুরোপুরি আত্মনিবেদিত তখনও তাঁর সাহিত্যপ্রীতি অবসিত হয়নি। বরং এ-বিষয়ে আপন আক্ষেপ ব্যক্ত করে পাটনা সাহিত্য পরিষদ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন : “আমিও সাহিত্য সেবায় জীবনাতিবাহিত করিব বলিয়া ঠিক করিয়াছিলাম, ঘটনাচক্রে এক্ষেত্রে আসিয়া পড়িয়াছি। নতুবা সেই পথই অবলম্বিত হইত।” (উদ্ধৃত : দেশবন্ধু রচনাসমগ্র, পৃ ৫)
চিত্তরঞ্জনের প্রিয় লেখক ছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র। আনন্দমঠ ও কমলাকান্তের দপ্তর বই দুটি তাঁর খুব প্রিয়। অপর্ণা দেবীর লেখা জীবনী থেকে জানা যায়, পারিবারিক সান্ধ্য সাহিত্য বৈঠকে তিনি প্রায়ই এ দুটি বই থেকে সবাইকে পড়ে শোনাতেন। চিত্তরঞ্জন মন্তব্য : ‘বাঙালি জাতির পরাধীনতার ব্যথা ও ধিক্কার এমনভাবে আর কেউ লেখেনি।’ (অপর্ণা : ৬১-৬২)
কিন্তু সবচেয়ে বেশি তাঁকে যা মুগ্ধ করত তা হলো বৈষ্ণব সাহিত্য। কন্যা অপর্ণা দেবীর বক্তব্য অনুযায়ী, অসহযোগ আন্দোলন চলাকালীন যখন তিনি ক্লান্ত হয়ে বাড়ি ফিরতেন, ঘরের সব বাতি নিভিয়ে তাঁকে ‘মাধব বহুত মিনতি করুঁ তোয়’ এই বৈষ্ণব পদটি গেয়ে শোনাতে হতো। কন্যা অপর্ণা দেবীকে  বলেছিলেন, মৃত্যুশয্যায় তাঁকে যেন এ-গানটি শোনানো হয়।

আরও পড়ুন দীর্ঘদিনের প্রথা ভেঙ্গে এবার পুরীর রথ টানবে হাতি

কবি, গল্পকার কিংবা প্রাবন্ধিক চিত্তরঞ্জন দাশকে বাংলা সাহিত্য তেমন মনে রাখেনি । বাংলা সাহিত্যে চিত্তরঞ্জনের উল্লেখ ও আলোচনা প্রধানত তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত নারায়ণ পত্রিকা (১৯১৪) ও তাকে কেন্দ্র করে রবীন্দ্র-বিরোধিতা প্রসঙ্গে। সেকালের প্রায় সব বিশিষ্ট লেখকই নারায়ণের পাতায় লিখতেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, ব্রজেন্দ্রনাথ শীল, বিপিনচন্দ্র পাল, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, জলধর সেন, । বলা বাহুল্য, রবীন্দ্রনাথ তখন বাংলা সাহিত্যে প্রবলভাবেই উপস্থিত৷ অথচ জানামতে রবীন্দ্রনাথের কোনো রচনাই নারায়ণে প্রকাশিত হয়নি। শুধু তাই নয়, নারায়ণই হয়ে দাঁড়ায় রবীন্দ্র-বিরোধিতার অন্যতম মাধ্যম।
রবীন্দ্রসাহিত্যের ব্যাপারে বিপিন পালের একটি বড় অভিযোগ ছিল, তাতে বাস্তবতার অভাব আছে। এ ব্যাপারে চিত্তরঞ্জনের মূল্যায়নও ছিল বিপিন পালের অনুরূপ।। মধ্যযুগের বৈষ্ণব সাহিত্যকেই চিত্তরঞ্জনের কাছে খাঁটি বাংলা সাহিত্য বলে মনে হয়েছে। তাঁর ‘বাঙ্গলার গীতিকবিতা’, ‘কবিতার কথা’, ‘রূপান্তরের কথা’ প্রভৃতি প্রবন্ধে তিনি বিশদভাবে তাঁর এই মত ব্যাখ্যা করেছেন।
বাঙলার শিক্ষা সাহিত্য সংস্কৃতি সবকিছুর জন্যই পাশ্চাত্য প্রভাবকে চিত্তরঞ্জন ক্ষতিকর ও সর্বতোভাবে পরিত্যাজ্য মনে করেছেন। ব্রিটিশ আগমনের পূর্বে বাঙালি জীবনের সবকিছুই ভালো ছিল, ব্রিটিশ শাসনের ফলে সবকিছুতেই পচন বিভ্রান্তি ও বিকৃতি দেখা দিয়েছে, তা শেকড়বিচ্ছিন্ন ও বাস্তবসম্পর্কশূন্য হয়ে পড়েছে, এমনই একটি ধারণা পোষণ করতেন তিনি।
নারায়ণের এই রবীন্দ্রবিরোধিতার পেছনে স্পষ্টতই চিত্তরঞ্জন দাশের প্রণোদনা ছিল। পত্রিকার প্রায় প্রতি সংখ্যায়ই রবীন্দ্র-সমালোচনামূলক এক বা একাধিক রচনা প্রকাশই যার প্রমাণ।প্রথম মহাযুদ্ধের কাল থেকে রবীন্দ্রনাথের চিন্তাচেতনা স্পষ্টতই স্বাদেশিকতার সীমা ছাড়িয়ে বিশ্বমানবিকতা বা আন্তর্জাতিকতার, ঈশ্বরচিন্তার পর্যায় অতিক্রম করে বৃহত্তর মানবপ্রেমের দিকে অগ্রসর হয়। তাঁর বলাকা (১৯১৬) কাব্যগ্রন্থের অনেক কবিতা সে-পালাবদলের সাক্ষ্য বহন করছে। এ-পর্যায়ে এসে রবীন্দ্রনাথ জাতীয়তাবাদকে একটি সংকীর্ণ ও সভ্যতা-বিধ্বংসী মতবাদ হিসেবে চিহ্নিত করেন।

আরও পড়ুন শ্রীমন্দির কর্তৃপক্ষের করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে সতর্কতার জন্য বিশেষ উদ্যোগ

শুধু জাতীয়তাবাদের প্রশ্নেই নয়, শিক্ষা, ধর্মচিন্তা, শিল্পনীতি ইত্যাদি আরও নানা বিষয়ে এ-পর্যায়ে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে চিত্তরঞ্জনের মতপার্থক্য স্পষ্ট হয়ে ওঠে। রবীন্দ্রনাথ যেখানে শিক্ষায় প্রাচ্য-পাশ্চাত্যের সহযোগ বা আদান-প্রদানের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন সেখানে চিত্তরঞ্জনের অভিমত ছিল : ‘বাঙ্গলার মাটিতে, বাঙ্গলার ভাষায় যে শিক্ষা সহজে দেওয়া যায় এবং যে শিক্ষা বাঙ্গালী তাহার স্বভাবগুণে সহজেই আয়ত্ত করে সেই শিক্ষাই আমাদের পক্ষে যথেষ্ট।(‘আমাদের শিক্ষা-দীক্ষার কথা’, ১৯১৭)
চিত্তরঞ্জন কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে রবীন্দ্রবিদ্বেষের অভিযোগ অস্বীকার করেন বলে তাঁর কন্যা চিত্তরঞ্জন-জীবনীকার অপর্ণা দেবী আমাদের জানাচ্ছেন। এ-প্রসঙ্গে চিত্তরঞ্জনের মন্তব্য ছিল : ‘কথাটা ঠিক হল না, আমি রবিবিদ্বেষী একেবারেই নই, অলৌকিক প্রতিভা আমি কখনও অস্বীকার করি না, তবে তাঁর সব লেখাই যে ভাল লাগে তা বলতে পারি না।’ অর্থাৎ রবীন্দ্র-প্রতিভার বিরাটত্ব নিয়ে কোনো সন্দেহ নয়, দৃষ্টিভঙ্গিগত পার্থক্যই চিত্তরঞ্জনকে রবীন্দ্রবিরোধী অবস্থান নিতে প্ররোচিত করে।, নারায়ণে রবীন্দ্রবিরোধী লেখা ছাপা হওয়ার পরও চিত্তরঞ্জনের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের সৌহার্দ্যে ঘাটতি পড়েনি। (অপর্ণা : ৬৭) অন্তত দেশব্রতী চিত্তরঞ্জনের প্রতি রবীন্দ্রনাথের শ্রদ্ধা কত গভীর ছিল তার প্রমাণ পাওয়া যায় চিত্তরঞ্জনের মৃত্যুতে লেখা”এনেছিলে সাথে করে মৃত্যুহীন প্রাণ।/মরণে তাহাই তুমি করে গেলে দান।”

তথ্যসূত্র
১. মণীন্দ্র দত্ত ও হারাধন দত্ত-সম্পাদিত দেশবন্ধু রচনাসমগ্র, কলকাতা, ১৩৮৫।
২. অপর্ণা দেবী, মানুষ চিত্তরঞ্জন, কলকাতা, ২০০৭।
৩. আদিত্য ওহদেদার, রবীন্দ্র বিদূষণ ইতিবৃত্ত, কলকাতা, ২০০৮।

You may also like

Leave a Reply!