Home বিনোদন শুরু হল ‘বিষ’ এর শ্যুটিং

শুরু হল ‘বিষ’ এর শ্যুটিং

by banganews

মন বড় বিচিত্র৷ আমাদের সমস্ত অনুভূতি আসলে মনের খেলা৷ সচেতন এবং অবচেতনের এই দুই স্তরে একই মনের নানারকম প্রতিক্রিয়া৷ আমাদের রাগ ঘেন্না খুশি বিষাদ সবই মানসিক অবস্থা৷ ইদ ইগো সুপার ইগো বিভিন্ন সময় আমাদের আচরণে তথা মনে প্রভাব বিস্তার করে৷ একই ব্যক্তি যেমন ক্ষেত্রবিশেষে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে আলাদাভাবে অনুভূতি প্রকাশ করে তেমনি দুজন ব্যক্তি একই ঘটনায় দুরকম আচরণ করেন। রাগ একটা শব্দ হলেও এর কারণ এবং বহিঃপ্রকাশ ব্যক্তি এবং পরিস্থিতির সাপেক্ষে পৃথক হয়৷

আরও পড়ুন আনলক ৪-এ খুলতে পারে সিনেমা হল

মানুষের মনে নানা ধরনের রাগ থাকে। রাগ থেকে প্রতিহিংসা বিদ্বেষ ঘৃণা সব জন্ম নেয়৷ তখনই মানুষের মনে অথবা আমাদের মনে তৈরি হয় এক বিষ। এই নিয়েই থিয়েটার পরিচালক জ্যোতিষ্মান চ্যাটার্জীর “স্বল্প দৈর্ঘ্য এর ছবি বিষ৷

সল্টলেক স্টেডিয়ামের স্টেডেল হোটেলে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই “বিষ” ছবির শুভ মহরত ও সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়৷ পরিচালক জানালেন পুজোর আগেই ছবির শ্যুটিং শেষ করার চেষ্টা করছেন৷ করোনা আবহে সমস্ত নিয়ম মেনেই হচ্ছে কাজকর্ম৷ কলকাতার বাইরে এক পুরোনো বাড়িতে এই ছবির কিছুটা শুটিং হয়েছে। ২০১৩ সালে পরিচালকের লেখা বিষ নাটক মঞ্চস্থ হয় কলকাতার বিভিন্ন নাটমঞ্চে৷ চিত্রনাট্য ও চিত্রগ্রহণ অরুনাভ খাসনবিশ ।তিনি জানালেন মানুষের মনের বিষ নিয়ে তৈরি হচ্ছে বিষ। তাই আমার বিশ্বাস “এই ছবি আমাদের সমাজ কে নতুন বার্তা দেবে”।

রসায়ন বিজ্ঞানের অবসরপ্রাপ্ত এক অধ্যাপক গবেষণা করে এক অদ্ভুত বিষ আবিষ্কার করেছেন। যার অস্তিত্ব বোঝা যায় না , এবং সেই বিষ খেয়ে মৃত্যু হলে ময়নাতদন্তেও তার প্রমাণ মেলে না । জনৈক এক ব্যক্তি এ খবর জানতে পেরে অধ্যাপকের কাছ থেকে সেই বিষ নিজের করায়ত্ত করতে চান৷ তিনি তার স্ত্রীকে এই বিষ খাইয়ে হত্যা করতে চান৷অধ্যাপক নীলকন্ঠ চৌধুরীর প্রধান বক্তব্য ক্রোধ, হিংসা,ঈর্ষা এগুলোকে জীবন থেকে বাদ দিতে হবে। তবু তিনি কেন এই বিষ আবিষ্কার করলেন? জানতে হলে দেখতে হবে বিষ৷ ছবিতে অধ্যাপকের চরিত্রে দেখা যাবে শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়কে। এছাড়া থাকছেন অনিন্দ্য পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়; যার স্ত্রীর চরিত্রে দেখা যাবে নয়নাকে।

আরও পড়ুন এবার ফুসফুসে সংক্রমণ, ভালো নেই প্রণববাবু

ছবির সাংবাদিক সম্মেলনে অভিনেতা শান্তিলাল বলেন, “আজ আমরা ব্যক্তিগতভাবে অত্যন্ত হিংস্র হয়ে উঠেছি। একে অপরের সঙ্গে ক্রোধ এবং হিংসায় জড়িয়ে পড়ছি। এই করোনা সংক্রমণ কালেও আমরা সঠিক মানবিকতার প্রকাশ দেখতে পাচ্ছি না। সে দিক থেকে দেখতে গেলে এই গল্পটি পুরনো হলেও আজকের দিনেও এমনকি ভবিষ্যতের জন্যও অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক।” পরিচালক জ্যোতিস্মান জানালেন,কয়েকদিন আগে রিষড়ার এক পুরনো বাড়িতে শুরু হয়েছে এই ছবির শুটিং। কলকাতার বেশ কয়েকটি জায়গায় চলবে আগামী শুটিং। ছবিটি খুব শীঘ্রই ডিজিটাল প্লাটফর্মে মুক্তি পাবে।

You may also like

Leave a Reply!