Home পাঁচমিশালি পৃথিবীর বাইরে মানুষের বাসযোগ্য গ্রহের সন্ধান পেলেন বিজ্ঞানীরা!

পৃথিবীর বাইরে মানুষের বাসযোগ্য গ্রহের সন্ধান পেলেন বিজ্ঞানীরা!

by Webdesk

পৃথিবীর বাইরে মহাকাশে বাসযোগ্য অন্য গ্রহ খোঁজা নিয়ে বিজ্ঞানীদের চেষ্টা ও আগ্রহের শেষ নেই। প্রতিনিয়তই তারা প্রাণের অস্তিত্ব থাকতে পারে বা প্রাণ ধারণ করা যায় এমন গ্রহের সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন।এরই ধারাবাহিকতায় বিজ্ঞানীরা এবার সন্ধান পেলেন “KOI-456.04” গ্রহটির। পৃথিবীর মতো প্রায় পাঁচশো এর বেশি গ্রহ, উপগ্রহের সন্ধান পাওয়া গেলেও এই গ্রহটি একমাত্র বাসযোগ্য হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

আরো পড়ুনঃ- ভারতীয় পুরাণ অত্যন্ত সমৃদ্ধ এক রত্নভাণ্ডার।

পৃথিবী থেকে প্রায় তিনহাজার আলোকবর্ষ দূরে একটি তারার নাম হল কেপলার-160। বিজ্ঞানীদের গবেষণার থেকে আগেই প্রমাণ মিলেছিল যে কেপলার-160 তারাটির নিজস্ব গ্রহ আছে। বর্তমানে বিজ্ঞানীরা আরও নতুন একটি গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন এবং নামকরণ করেছেন ‘KOI-456.04’ নামে। তথ্যসূত্রে জানা গেছে কেপলার-160 এর চারিপাশে প্রদিক্ষণ করা এই গ্রহটি পৃথিবীর মতো। সম্ভাব্য বাসযোগ্য এই KOI-456.04 গ্রহটি বিজ্ঞানীদের মনে আশার সঞ্চার করেছে।
জার্মানির ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর সোলার সিস্টেম থেকে প্রকাশিত হওয়া একটি জার্নালের গবেষণাপত্র থেকে এই নতুন আবিষ্কৃত হওয়া গ্রহটির কথা প্রথম জানা যায়। এই প্রতিষ্ঠানটি থেকে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে এই গ্রহটি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। কেপলার সূর্যের মতো ইনফ্রারেড রশ্মি বিকিরণ করলেও তা সূর্যের মতো অত উত্তপ্ত নয়। কেপলারের পৃষ্ঠদেশের তাপমাত্রা 5200 ডিগ্রি সেলসিয়াস, সূর্যের চেয়ে 300 ডিগ্রি কম। কেপলার সম্পর্কে তথ্য বিজ্ঞানীদের কাছে থাকলেও KOI-456.04 গ্রহটির ভর কত, এই গ্রহের তাপমাত্রা কত, পৃথিবীর মতোই এই গ্রহটির পৃষ্ঠদেশ মাটির নাকি পাথরে- বরফে ঢাকা তা জানার কাজ সহজ নয়।

আরো পড়ুনঃ- ভয়ঙ্কর বিপদের মুখে পৃথিবী… আসছে পর পর ১০ টি প্রবল ঝড়।

সূর্যের থেকে কম উত্তপ্ত এবং কম উজ্জ্বল তারা মহাকাশে অনেক আছে। মহাকাশবিজ্ঞানের ভাষায় এই তারাগুলিকে রেড ডোয়ার্ফ স্টার বলে। মহাকাশে ছড়িয়ে থাকা অধিকাংশ লাল বামন তারার চারিপাশে পৃথিবীর মতোই অনেক গ্রহ ঘুরছে। কিন্তু লাল বামন তারার সাথে তুলনা করলে কেপলার-160 মানুষের বসবাসের জন্য অনেক বেশি স্থিতিশীল এবং উপযুক্ত।
সৌরজগতের বাইরে বাসযোগ্য গ্রহের খোঁজে বহুবছর ধরে কাজ করে চলেছেন অনেক দেশ বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীদের কাছে এখনো এইগ্রহে প্রাণের কোনো অস্তিত্ব আছে কিনা সে ব্যাপারটি পরিষ্কার নয়। হেলার গবেষণাপত্র থেকে জানা গেছে KOI-456.04 গ্রহটি অন্যান্য আবিষ্কৃত গ্রহগুলির তুলনায় অনেক বেশি বাসযোগ্য। হেলার আরও জানিয়েছেন সংকেত এত ক্ষীণ যে এই গ্রহটি প্রায় সকলের চোখের আড়ালে থেকে গেছিল। তবে কেপলার -160 এর আবিষ্কৃত আগের দুটি গ্রহ অতি উত্তপ্ত থাকায় তা মানুষের বাসযোগ্য ছিল না।
কেপলার-160 বাসযোগ্য কিনা তা বলবে ভবিষ্যৎ কিন্তু এই নতুন নতুন আবিষ্কার যে পৃথিবীর উন্নয়নে ইতিহাস তৈরি করছে সে বিষয়ে কোনো সংশয়ের অবকাশ নেই।

আরো পড়ুনঃ বিগত ২৭ বছরে এরকম পঙ্গপালের উৎপাত দেখা যায়নি । কেন এমন হলো?

You may also like

Leave a Reply!