দেশজুড়ে প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে করোনা সংক্রমণ। মৃত্যু মিছিল শুরু হয়েছে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের গবেষকরা দিশেহারা। এখনো পর্যন্ত করোনা প্রতিরোধে কোন সুনিশ্চিত উপায় গবেষকরা খুঁজে পাননি। এই পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চলার জন্য প্রায় দুই মাসের বেশি সময় ধরে চলেছে লকডাউন। এই পরিস্থিতিতে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাস্তার ধারের খাবারের স্টল দেওয়া ছোট ব্যবসায়ীরা। জীবন ও জীবিকার বিপর্যয়ের এই সময়ে প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে ফুচকা বিক্রি বন্ধ করতে হবে। যেভাবে দিনদিন সংক্রমণের হার বেড়ে চলেছে তাতে জনগণের স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সমগ্র কানপুরে পানিপুরি ফুচকা বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন – মুম্বইয়ে শুরু হল লোকাল ট্রেন পরিষেবা
মঙ্গলবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ফুচকা বিক্রি বন্ধ করা হয়েছে। মঙ্গলবার এক সাংবাদিক বৈঠকের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছেন কানপুরের জেলাশাসক ব্রহ্মাদেও রাম তিওয়ারি৷ তিনি বলেন গোটা দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কানপুরে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে৷ এই অবস্থায় জনগণ বাইরের খাবার বা ফাস্টফুড খেলে ক্ষতির আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। তাই গোলগাপ্পা বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তিনি বলেন, মেয়েদের কাছে ফুচকা অত্যন্ত লোভনীয় এবং সস্তায় বিক্রিযোগ্য এই খাবারটি বানানোর সময় যথেষ্ট সাবধানতা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নেওয়া হয় না। টকজল সহ ফুচকা খেতে হয় এক্ষেত্রেও জলের গুণগতমান নিয়ে যেমন ভাবার বিষয় আছে, তেমনি ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা কিংবা স্পর্শ বাঁচানো সম্ভব নয়।
আরো পড়ুন – পরিকল্পনা করেই সংঘর্ষ বাধিয়েছে চীন : বিস্ফোরক অভিযোগ বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের
প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তে সমস্যায় পড়েছেন ফুচকা ব্যবসায়ীরা। তাদের কথায় একদিকে করোনা সংক্রমণ অন্যদিকে লকডাউনে রুটি-রুজি বন্ধ গত আড়াই মাস ধরে। এবারে ফাস্টফুড ব্যবসার উপর প্রশাসনের এই নির্দেশিকায় তাদের আয় পুরোপুরি বন্ধ হওয়ার উপক্রম৷
জনৈক ফুচকা বিক্রেতা জানান পরবর্তী সময় থেকে তারা স্যানিটাইজার ব্যবহার করছেন, মাস্ক পরেই ফুচকা বিক্রি করছেন পরিচ্ছন্নভাবে। কিন্তু প্রশাসনের এই নির্দেশিকা মেনে চলা ছাড়া বর্তমানে আর কোন উপায় তাদের কাছে নেই