Home বঙ্গ স্মার্টফোন নেই, অনলাইন ক্লাস থেকে ব্রাত্য ছাত্রী অবসাদে আত্মঘাতী

স্মার্টফোন নেই, অনলাইন ক্লাস থেকে ব্রাত্য ছাত্রী অবসাদে আত্মঘাতী

by Webdesk

স্মার্টফোন নেই, অনলাইন ক্লাস থেকে ব্রাত্য ছাত্রী অবসাদে আত্মঘাতী

হাতে নেই স্মার্টফোন, তাই ব্রাত্য হতে হয়েছে অনলাইন ক্লাস থেকে৷ সেই অবসাদে আত্মঘাতী হলেন হাওড়ার কিশোরী। বৃহস্পতিবার বাড়ি থেকে তার দেহ উদ্ধার করে বালির নিশ্চিন্দা থানার পুলিশ।

অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের আত্মহত্যার পর এই ঘটনা ফের একবার সমাজে বঞ্চনার চিত্রকে সামনে এনেছে৷

আরো পড়ুন:-ক্রিকেট নিয়ে দুর্নীতির পীঠস্থান ভারত: আইসিসি

পুলিশ সূত্রে খবর, ইংরাজি মাধ্যম স্কুলের সেই ছাত্রীর দেহ প্রথম উদ্ধার করে তার দাদা। সন্ধ্যায় ক্রিকেট খেলে বাড়িতে ফিরে বোনের নিথর দেহ দেখতে পান ওই তরুণ। জানা গিয়েছে, নিশ্চিন্দা থানা এলাকায় ভাড়াবাড়িতে থাকত ভাই-বোন। লকডাউন ঘোষণার দিন তিনেক আগে বিহারের গ্রামের বাড়ি গিয়েছেন ওই কিশোরীর মা-বাবা। তখন থেকে ওখানেই আছেন। মৃতার বাবা পেশায় ট্রাক ব্যাপারী। কিশোরীর বাবা সন্তু সাউ বলেন, “ঘরে একটাই স্মার্টফোন সেটা আমি নিয়ে এসেছিলাম।”
মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়েই তড়িঘড়ি হাওড়া ফিরেছেন সাউ দম্পতি। মৃতার বাবা বলেন, “মেয়ের কাছে একটাই ফোন ছিল। সেটা স্মার্টফোন নয়। যদিও জলে পড়ে সেই ফোন নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। আমার ছেলে বলেছিল বোন খুব উদ্বিগ্ন। কারণ ওর কাছে ফোন নেই, তাই অনলাইন ক্লাস করতে পারছে না।”

আরো পড়ুন:-সীমান্ত নিয়ে মোদির কথা মুছে দিল চিনা সোশাল মিডিয়া

পুলিশের কাছে কাউকে দোষ দিতে চান না এমন বয়ান দিয়েছেন সন্তু সাউ। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের দাবি, কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়নি। তবে অবসাদ এই আত্মহত্যার মূল কারণ হিসেবে মনে হচ্ছে। যে বাড়ি থেকে দেহ উদ্ধার হয়েছে, সেই বাড়ির মালিক বিপুল দাস জানান, মেয়েটি বেশ শান্ত স্বভাবের ছিল। বাড়ির বাইরে খুব একটা বেরতো না। দেখা হলে পড়াশোনা নিয়েই কথা বলত৷ মেয়েটির দাদার বক্তব্য, পড়াশুনা নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকায় বেশ অনেকদিন থেকেই চুপচাপ হয়ে গিয়েছিল মেয়েটি। কিন্তু সেটা এতটা চরম রূপ নেবে তা তার দাদা বুঝতে পারেনি৷

আরো পড়ুন:-ভারত-চীন সম্পর্ক ক্রমশ খারাপ দিকে ঠিক তখনি ভারতের বন্ধু দেশ বাংলাদেশ এর প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিল চিন।

অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের আত্মহত্যার পর এই ঘটনা ফের একবার সমাজে বঞ্চনার চিত্রকে সামনে এনেছে৷

(আপনার যদি মানসিক চিকিৎসার জন্য কোনও সহযোগিতা লাগে বা পরিচিত কেউ অবসাদগ্রস্ত হয়, তাহলে তাঁকে নিকটবর্তী মানসিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান)

হেল্পলাইনস: AASRA: 91-22-27546669 (24 hours)
Sneha Foundation: 91-44-24640050 (24 hours)
Vandrevala Foundation for Mental Health: 1860-2662-345 and 1800-2333-330 (24 hours)
iCall: 022-25521111 (Available from Monday to Saturday: 8:00am to 10:00pm)
Connecting NGO: 18002094353 (Available from 12 pm – 8 pm)

West BengalMental HealthOnline

আরো পড়ুন:-তারপর হঠাৎ রিলিজ করে দেওয়া হল ওটিটি-তে। সুশান্তকে একটা কথাও জানাননি করণ

You may also like

Leave a Reply!