Home কলকাতা রাজ্য সরকারের নতুন প্রকল্প কৃষকবন্ধু! ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

রাজ্য সরকারের নতুন প্রকল্প কৃষকবন্ধু! ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

by banganews

মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী বরাবরই মানুষের স্বার্থে বিভিন্ন প্রকল্প উদ্বোধন করেছেন। এরকমই কৃষক দের সাহায্য করার জন্য একটি প্রকল্পের নাম কৃষক বন্ধু। বাংলায় ৭২ লক্ষ কৃষক ও খেত মজুর এই প্রকল্পের ফলে উপকৃত হবেন বলে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। 2019 এর বর্ষশেষের দিন তিনি এই প্রকল্পটির কথা ঘোষণা করেন। 2020 এর জানুয়ারি থেকেই এই প্রকল্প শুরু হয়ে গেছে এবং ফেব্রুয়ারি থেকে কৃষকরা আবেদন করতেও শুরু করেছেন।

এই যোজনাটি চালু করার পিছনে রাজ্য সরকারের মূল লক্ষ্য ছিল গরীব চাষী ও কৃষি মজুরদের সাহায্য করা। অনেক সময়েই প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে তারা প্রয়োজনীয় শস্য উৎপাদন করতে পারেন না। এই যোজনার সাহায্যে কখনও লোকসানের মুখে পড়লেও কৃষকদের আর চিন্তিত হতে হবে না।

আরও পড়ুন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে হুগলি জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রায় ১০ হাজারের বেশি পরিযায়ী শ্রমিকের হাতে জব কার্ড তুলে দেওয়া হলো

 

বহু আগেই কৃষি জমিতে খাজনা মকুব করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। এ ছাড়া মিউটেশন ফি’র ক্ষেত্রেও কৃষকরা বিশেষ ছাড় পান। এবার এই কৃষক বন্ধু প্রকল্প রাজ্যের কৃষক দের মুখে আরো হাসি ফোটাবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে ‘কৃষক বন্ধু’ প্রকল্পে রবি ও খরিফ মরসুমে দু’দফায় একর প্রতি পাঁচ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হবে। এ ছাড়া এক একরের কম জমির জন্য আনুপাতিক হারে অনুদান নির্ধারিত হবে। ন্যুনতম অনুদানের পরিমাণ হবে এক হাজার টাকা। ১৮-৬০ বছর বয়সি কোনও কৃষকের স্বাভাবিক বা অস্বাভাবিক মৃত্যুতে তাঁর পরিবারকে সরকার এককালীন দু’লক্ষ টাকাও অনুদান হিসেবে দেবে। কৃষকের যদি জমি না থাকে অর্থাৎ কৃষক যদি ভাগচাষী হয়ে থাকেন , তাহলেও সরকারি অনুদান পাওয়া যাবে এবং ১ একর এর কম জমি থাকলেও ১০০০ টাকা অনুদান প্রতি বছর পাওয়া যাবে।
এই প্রকল্পের জন্য প্রতিবছর বেশ কয়েক হাজার কোটি টাকা খরচ হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। অন্যখাতে খরচ কমিয়ে কৃষি দফতরকে এই খাতে টাকা দেওয়া হবে বলেও তিনি বলেছিলেন।
কৃষক বন্ধু প্রকল্পটির আবেদন পত্র পাওয়া যায় স্থানীয় কৃষি দফতরের (এ ডি এ ) অফিসে। পশ্চিমবঙ্গ কৃষকবন্ধু যোজনার অনলাইন রেজিস্ট্রেশন ও লগইন পরিষেবা ইতিমধ্যেই চালু হয়ে গিয়েছে। এই বিষয়ে জানার জন্য আবেদরকারীকে matrikatha.net ওয়েবসাইটি ভিজিট করতে হবে। কৃষকরা অনলাইনেই ফর্ম ফিল আপ করতে পারবেন। কৃষিদফতরের এক কর্তা বলেন, এক সঙ্গে সব কৃষককে নথিভুক্ত করা যায় না। তাই দফায় দফায় এ ভাবে কৃষকদের নথিভুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।

আরও পড়ুন করোনাভাইরাস এর মত মহামারী আগামী দিনে আরো হবে বলে বিজ্ঞানীদের মত।

আবেদনকারীর ব্যাঙ্ক অ্যাকউন্টের মাধ্যমেই এই যোজনায় যাবতীয় টাকার লেনদেন হবে। এতে যেমন নিশ্চিত হওয়া যাবে যে সঠিক আবেদনকারীই টাকা পাচ্ছেন পাশাপাশি তৃতীয় ব্যাক্তির হস্তক্ষেপও কম হবে। যেহেতু এই যোজনাটি কেবলমাত্র কৃষি কাজের সঙ্গে যুক্ত মানুষদের জন্য চালু করা হয়েছে সেহেতু কৃষক ও কৃষি মজুররাই এই আবেদন করতে পারেন ও এই যোজনার লাভ পাওয়ার জন্য তাদের প্রয়োজনীয় রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে। আবেদনকারীকে তার বাসস্থানের যাবতীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে। জমা দিতে হবে আধার কার্ড বা ভোটার কার্ড এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকউন্টের নথি।
রাজ্যসরকারের তরফে জানান হয়েছে প্রতিটি আবেদনকারী যাদের বয়স ১৮ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে তারা বীমার আওতায় আসার জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন।

You may also like

Leave a Reply!