প্রায় দু’মাসের বেশি সময় থাকা লকডাউন প্রায় শেষ৷ অফিসে বেরোতেই হবে। করোনা আমাদের পিছু ছাড়েনি৷ আগে থেকে বোঝার উপায় নেই। অনেক কোভিড ১৯ আক্রান্ত মানুষের পূর্বলক্ষণ নেই৷ বাসে, ট্রামে, ট্যাক্সিতে সোসাল ডিস্ট্যান্সিং মেনে চলা সবসময় সম্ভব নাও হতে পারে৷ কী করা যেতে পারে?
*বাইরে যাওয়ার সময় N95 না থাকলেও মাস্ক অবশ্যই পরতে হবে ।মাস্ক পরে থাকা অবস্থায় মুখে,চোখে,কানে হাত দেওয়া যাবে না৷ ডিজপোজেবল গ্লাভস ব্যবহার করা যেতে পারে৷ কোলাকুলি বা হাত মেলানো এড়িয়ে চলার দরকার। স্যানিটাইজার সঙ্গে রাখতেই হবে আগামী কয়েক মাস৷
*বাড়ি ফিরেই বাইরের জামাকাপড়ে ঘরে না ঢুকে জামাকাপড় কেচে স্নান সেরে তবেই ঘরে ঢোকা ভাল।
* ডায়াবেটিস/অ্যাজমা/হার্টের রোগ থাকলে বিশেষ সচেতনতা প্রয়োজন৷ ডায়াবেটিক মানুষদের সুগারকে কন্ট্রোলে রাখা প্রয়োজ৷গ্লুকোমিটার থাকলে বাড়িতে থেকেই সুগার টেস্ট করা যেতে পারে৷
*শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সবুজ শাক সব্জি ফল খাওয়া, পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম দরকার৷নেশাদ্রব্য থেকে বিরত থাকুন৷ ভিটামিন সি প্রতিদিন খেলে সর্দি কাশির থেকে অনেকটাই রক্ষা পাওয়া যায়। এসবের সঙ্গে অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া প্রয়োজন৷
*বাচ্চা এবং বয়স্কদের ভীষণ প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে না যওয়াই ভাল।
আরো পড়ুন – রাজধানীর বুকে আজ তাণ্ডব শুরু করে দিয়েছে ঘূর্ণিঝড় নিসর্গ৷
বাড়ির বাইরে থেকে আসা জিনিসপত্র সারফেস ক্লিনার দিয়ে পরিস্কার করে নিতে হবে৷ ডাক্তারি মতে ভাইরাস কার্ডবোর্ডে ২৪ ঘন্টা,তামার জিনিসে ৪ ঘন্টা,প্লাস্টিকে আর স্টেইনলেস স্টিলে ২-৩ দিন থাকে। তাই বাইরে থেকে কিনে আনা শাক সবজি, মাংস ভাল করে গরম জলে ধুয়ে নিতে হবে ধোয়া মোছার পরে অবশ্যই নিজের হাতও সাবান জলে ধুয়ে নেবেন। কাজটা সময়সাপেক্ষ হলেও আমাদের ভাল থাকার জন্য এটুকু আপনাকে করতেই হবে৷
আরো পড়ুন – বাস কম, বাড়ি ফিরতে ভোগান্তি , খবর পেয়েই তৎপর প্রশাসন
আমাদের রাজ্যের আবহাওয়ায় জ্বর, সর্দি,কাশি লেগেই থাকে। তাই এগুলো হওয়া মানেই কোভিড হওয়া নয়।অত্যধিক আতঙ্কিত হলে মানসিক স্বাস্থ্য ক্ষতি হবে। সর্বদা সচেতন থাকুন ,স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন।