Home পৌরাণিক কাহিনী ভূত চতুর্দশীর ভূতেদের চেনেন কি?

ভূত চতুর্দশীর ভূতেদের চেনেন কি?

by banganews

বঙ্গ নিউস, ১৩ নভেম্বর, ২০২০ঃ আজ ভূতের দিন। ভূত চতুর্দশী। তবে চোদ্দ শাক, চোদ্দ বাতির সঙ্গে সঙ্গে আজ আবার দীপাবলী তিথিও শুরু হয়ে যাচ্ছে। ভূতে আর দেবতায় সব মিলিয়ে হইহই কাণ্ড।
কিন্তু এই ভূতরা কোথা থেকে আসে, জানেন কি? পুরাণ খুব সুন্দর একটা গল্প বলে। বলিরাজার গল্প। সে রাজা ছিল দানবরাজ। তার সঙ্গীসাথীদের মধ্যে ভূতেরাও ছিল। সেই রাজা ভারি শিবভক্ত। দানশীল। কিন্তু অত্যাচারী। মর্ত্যে আর স্বর্গে প্রবল অত্যাচার তার। এই বলিরাজাকে শাস্তি দিতেই ভগবান বিষ্ণু এলেন বামনের ছদ্মবেশে। তিন পা জমি চাইলেন তাঁর কাছে। সম্মত হলেন বলি। বিষ্ণুর এক পায়ে গোটা স্বর্গ ঢেকে গেল, আরেক পায়ে মর্ত্য। আর এবার তৃতীয় পায়ে? মাথা পেতে দিলেন বলি। তাঁর মাথায় সেই পা রাখলেন বিষ্ণু। বলি নেমে গেলেন পাতালে। স্বর্গ আর মর্ত্য রক্ষা পেল।

আরও পড়ুন ধনতেরাসে সস্তায় কিনুন সোনা, সুযোগ করে দিল আরবিআই

তবে বলির সদগুণ তো কিছু কম ছিল না। বিষ্ণু তাই বর দিলেন, বছরে একদিন তাঁর ভৌতিক সাঙ্গপাঙ্গ সমেত মর্ত্যে আসতে পারবেন বলিরাজা। সেই দিনটাই আজ। ভূতচতুর্দশী। আর বলিরাজার সাঙ্গপাঙ্গরা যাতে না এ বাড়ি ও বাড়ি ঢুকে যেতে পারে, তাই আগুন জ্বালানোর রীতি। চোদ্দ প্রদীপ।
অবশ্য শাস্ত্র বলে, হেমন্তকালের এই দিনটাতে পরলোকগত পিতৃপূরুষের আত্মা ফিরে আসেন পৃথিবীতে। তাঁদের পথ দেখানোর জন্য এই প্রদীপের আয়োজন। প্রকৃতিজ চোদ্দ শাকও তাঁদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে অর্পিত।
বিজ্ঞান বলে, হেমন্তকালের এই সময়টায় রোগব্যাধি লেগেই থাকে। এই শাকই দেহকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। আর হেমন্তকালের ক্ষতিকর পোকামাকড়কে দূরে রাখে প্রদীপের আগুন।

You may also like

Leave a Reply!