এপ্রিল-মে মাসের CESC-র বিদ্যুতের বিল দিতে হবে না বলে জানিয়েছে সংস্থা। তবে তা কি একেবারেই দিতে হবে না, নাকি আপাতত দিতে হবে না এই প্রশ্ন সকলের। যাঁরা ইতিমধ্যেই বিল পেমেন্ট করে ফেলেছেন, তাঁরা কি টাকা ফেরত পাবেন?
রবিবার গোটা দিন জুড়ে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও ট্যুইটারে সিইএসসি নিয়ে নানা কথা উঠেছে। সাধারণ মানুষ থেকে সেলেব্রিটি সকলেই সরব৷ কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় থেকে শুরু করে যশ, প্রত্যেকেই নিজেদের বিদ্যুতের বিলের কপি দিয়ে ট্যুইট করেছেন।
কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় লিখেছেন, “আমরা তিনজন। অত্যন্ত সাধারণ জীবন যাপন আমাদের। বিশেষ করে এরকম অনিশ্চিত সময়ে আরও খরচ সামলে চলেছি সবাই। খুব গরম দুপুরে একটি ও রাতে শোবার সময় দুটি এসি চলে। কোনওদিন একসাথে তিনটি এসি চলে না আমাদের। সবই এলইডি আলো। তাও বারবার এরকম বিল! বিকল্প নেই!অসহায়!”
বিদ্যুৎ মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের মতে ওই বিজ্ঞাপন দেখে কিছু বোঝা সাধারণ মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়।
কলকাতার পাশাপাশি হাওড়া, হুগলি ও উত্তর ২৪ পরগণার যে সমস্ত অংশে সিইএসসি বিদ্যুৎ সরবরাহ করে সেখানকার বাসিন্দারাও সিইএসসি অফিসে গিয়ে ক্ষোভ জানিয়ে আসছে।
আরও পড়ুন : দেশের করোনা পরিস্থিতি
একই ধরণের অভিযোগ আঁখি চক্রবর্তীর। তাঁর অভিযোগ বিল আসে প্রতি মাসে ৩০০০ করে। সেটা এখন এসে দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার টাকা। এটা কিভাবে সম্ভব ?
কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়ে নিজেদের অবস্থান আগেই স্পষ্ট করেছে সিইএসসি। সিইএসসি সংস্থার এম ডি দেবাশিস বন্দোপাধ্যায়ের দাবি, গ্রাহকরা এখন ৫০% টাকা দিক। পরে আগামী দু’মাসে ২৫% করে টাকা দিয়ে বিল মিটিয়ে দেবেন। তবে গ্রাহকদের বক্তব্য, সিইএসসি বিল তৈরিতে ত্রুটি আছে। তাই আপাতত বিদ্যুতের বিল নিয়ে জল্পনার শেষ হচ্ছে না।