মঙ্গলবার দিনভর মিটিংয়ের পর আবারও শুটিং নিয়ে অচলাবস্থা টলিপাড়ায়।
দিন কয়েক আগেই ১০ জুন থেকে সেটে ফেরার ছাড়পত্র পেয়েছিলেন সিরিয়ালের অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। এরপর রবিবার মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে মিটিংয়ের পর জানানো হল যে ধারাবাহিকের পাশাপাশি সিনেমার শুটিংও করা যাবে আগামীকাল অর্থাৎ ১০ জুন থেকেই। অতঃপর স্বাস্থ্যবিধি মেনে জোরকদমে কাজে ফেরার খবরেই আশার আলো দেখছিলেন শিল্পী এবং কলাকুশলীরা।
আরও পড়ুন সরকারি অনুমতি পেলেও এইমুহূর্তে শুটিং শুরু হয়নি কোনও বাংলা ছবির – পিছিয়ে গেল গোলন্দাজের শুটিংও
কথা ছিল আজ থেকেই টলিপাড়ায় শোনা যাবে লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশন! শিল্পীরাও আশায় বুক বেঁধেছিলেন। কিন্তু কোথায় কী? দফায় দফায় আর্টিস্ট ফোরাম-সহ সমস্ত সংগঠনগুলিকে নিয়ে মিটিংয়ের পরও শুটিং নিয়ে কাটল না জট। আজ আড়াই মাস পর শুটিং শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিমা সংক্রান্ত সমস্যা থাকায় আর্টিস্ট ফোরাম শুটিং শুরু করতে নারাজ। যতক্ষণ না পর্যন্ত শিল্পীদের স্বাস্থ্যবিমার কাগজ তাঁরা হাতে পাচ্ছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত কোনও শিল্পী শুটিংয়ে অংশ নেবেন না, সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে তাদের পক্ষ থেকে।
স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর বা এসওপি, যেখানে চারটি পক্ষের সই করার কথা তা এখনও সর্বসম্মতিক্রমে স্বাক্ষরিত হয়নি! ওদিকে ৯ জুন সন্ধ্যায় ফোরাম, ফেডারেশন, চ্যানেল ও প্রযোজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে ১০ জুন থেকে শুটিং শুরু হচ্ছে না।
আরও পড়ুন ইরফান খান’কে কী বললেন রাধিকা?
আর্টিস্ট ফোরামের পক্ষ থেকে শান্তিলাল, দেবদূত ও শঙ্কর চক্রবর্তীরা বলছেন সমগ্র বিষয়টাই অত্যন্ত স্পর্শকাতর।
কিন্তু শিল্পীদের জীবনের ঝুঁকিটা এইমুহূর্তে তাঁরা ভাবছেন।আর্টিস্ট ফোরামের কার্যকরী সভাপতি শঙ্কর চক্রবর্তীর কথায়, ” এখনও বিমার নথিপত্র আমাদের হাতে আসেনি। তাই আর্টিস্টদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে আমরা চ্যানেল ও প্রযোজকদের অনুরোধ করেছিলাম, এই সময়ের মধ্যে কারও কোনও অঘটন ঘটলে তার দায়িত্ব যেন তাঁরা নেন, কিন্তু সেটা মানতে তাঁরা নারাজ।”
এই প্রসঙ্গে শিল্পীরা অবশ্য দ্বিধাবিভক্ত। অনেকেই সোশাল মিডিয়া প্রোফাইলে সরাসরি জানিয়েছেন শুটিং বন্ধ হওয়া নিয়ে তাঁদের উদ্বেগের কথা। শুটিং বন্ধ হওয়ায় সোশাল মিডিয়ায় অত্যন্ত সরব হয়ে উঠেছেন শিল্পী, টেকনিসিয়ান এবং প্রযোজকরাও। ফোরামের