গত ২০ মে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় আমফানের দাপটে তছনছ হয়ে গেছে গোটা রাজ্য। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আমফান বিধ্বস্ত মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছানোর ব্যবস্থা করে রাজ্য সরকার। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই অভিযোগ আসতে থাকে, ত্রাণ সঠিক জায়গায় যাচ্ছে না। যারা সত্যিইকারের ক্ষতিগ্রস্ত তাঁদের কাছে ত্রাণ পৌছাচ্ছেই না আর যাদের ক্ষতি হয়নি তাঁদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে ত্রাণ। এই অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছানো মাত্রই তত্পর হন তিনি। সাথে সাথে সরকারি আধিকারিকদের কড়া নির্দেশ দেন আমফান পরবর্তী ত্রাণ যেন সঠিক জায়গায় পৌঁছায়।
আরও পড়ুন : লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় নিহত সেনা জওয়ানদের শ্রদ্ধা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সরকারি আধিকারিকরা জানিয়েছে, এবিষয়টি পর্যালোচনা করার জন্যে ইতিমধ্যেই ঘূর্ণিঝড় ক্ষতিগ্রস্থ জেলাগুলোর বিডিওদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাঁরাই আমফানে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যের বিষয়টি দেখভাল করছেন। আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের আর্থিক সহায়তার জন্য বিভিন্ন প্রকল্প ঘোষণা করেন তিনি। এক আইএএস অফিসারের কথায় “১২ জুন পর্যন্ত আমরা প্রায় ২,০০০ টি অভিযোগ পেয়েছি যে ত্রাণ সাহায্যগুলো ঠিকমতো পৌঁছয় না। সমস্যাটি সমাধানের জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বিডিওরা এই কমিটির নেতৃত্ব দেবেন এবং ক্ষতিগ্রস্তরা যাতে সাহায্য পান সেই বিষয়টি নিশ্চিত করবেন”। পশ্চিমবঙ্গ সরকার ঘূর্ণিঝড় আমফানের পরে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে মানুষজনকে সহায়তা করার জন্য ১,৪৪৪ কোটি টাকার সাহায্য ঘোষণা করেছে, ইতিমধ্যে প্রায় ৫ লক্ষ ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের বাড়িঘর মেরামত করার জন্য অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এছাড়া রাজ্যের ২৩.৩ লক্ষ কৃষককেও সহায়তা করা হচ্ছে সরকারের তরফে।