Home বঙ্গ এই গ্রামে ফোনের চার্জ দিতে পেরোতে হয় দুই নদী, অনলাইন ক্লাস কীভাবে সম্ভব

এই গ্রামে ফোনের চার্জ দিতে পেরোতে হয় দুই নদী, অনলাইন ক্লাস কীভাবে সম্ভব

by banganews

করোনা সংক্রমণ রুখতে বন্ধ স্কুল কলেজ। যদিও পড়াশুনা চলছে অনলাইনে৷ কিন্তু ডিজিটাল ইন্ডিয়ায় কি সত্যিই এখন সমস্ত ছাত্র ছাত্রী অনলাইন ক্লাস করার সুযোগ পাচ্ছেন?

বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মুর্শিদাবাদের পরাশপুর চরের সেই স্কুলের শিক্ষক বলেন, অনলাইন? আমার ছাত্ররা ‘নেট’ বলতে বোঝে মাছ ধরার জাল! জলজ চরে ‘নেট’-এর অন্য কোনো অর্থ হয় না।গ্রামের নিচু ফসলি জমি এখন জলের নিচে। স্কুলের প্রাচির ঘেঁষে বানে জল।

পরাশপুরের একাদশ শ্রেণির ছাত্র জানায়, মোবাইলের চার্জ ফুরিয়ে গেলে মূল পদ্মা ও তার শাখা, দুই নদী পেরিয়ে ঘোষপাড়া  বাজারে যেতে হয়। মোবাইল তো চরের লোকদের কাছে খেলনা, তার ওপর আবার স্মার্ট ফোন!

আরও পড়ুন করোনা আক্রান্ত এগরার তৃণমূল বিধায়ক

মালদহের হবিবপুরের নিতান্তই ছাপোষা ঘরের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর পরিবারে একমাত্র কর্মক্ষম তার দিনমজুর বাবা। তার বাড়িতে সাধারণ একটা মোবাইল আছে বটে, তবে স্মার্টফোন স্বপ্ন ছাড়া আর কিছু নয়।

কোচবিহারের এক ছাত্রের বাবা প্রতিমা তৈরি করে সংসার চালান৷ এবার প্রতিমার বায়না নেই ,তাই স্মার্টফোন কেনার সাধ্য তার নেই৷ কারও কাছে আবার ফোন থাকলেও নেট রিচার্জ করার সামর্থ্য নেই৷

করোনাভাইরাস মহামারি আকারে ছড়িয়ে যাওয়ার কারণে লকডাউনের মধ্যে অনলাইন পাঠদান তাই সোনার হরিণ হয়ে ছড়িয়ে রয়েছে প্রান্তিক বাংলার অনেক গ্রামে। সরকারিভাবে বাংলা শিক্ষা পোর্টালে পাঠ্য বিষয় আপলোড করা থাকলেও তারা দেখতে পাচ্ছে না। বহু স্কুলই নিজস্ব উদ্যোগে ই-ক্লাস করছে, কিন্তু মোবাইল না-থাকায় অনেক শিক্ষার্থী ক্লাসে যোগ দিতে পারছে না।

আরও পড়ুন পূর্ব ভারতে বারংবার ভূকম্পনে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

প্রত্যন্ত অঞ্চল ছাড়াও পূর্ব কিংবা পশ্চিম বর্ধমান, হুগলি কিংবা নদিয়াতেও একই সমস্যা রয়েছে। বর্ধমানের এক শিক্ষক জানান, এপ্রিল মাসে নবম এবং দশম শ্রেণির দেড়শ ছাত্রকে নিয়ে অনলাইন ক্লাসের কথা ভেবেছিলেন । ৮০ জন শিক্ষার্থী রাজি হল কিন্তু মে মাসে এক ধাক্কায় ছাত্রসংখ্যা নেমে এল ৫০-এ। এখন ১৫ জন ছাত্র অনলাইনে ক্লাস করছেন। বেশির ভাগেরই মোবাইল রিচার্জ করানোর সামর্থ্য নেই।

You may also like

Leave a Reply!