Home বিনোদন করোনার মতো বিপর্যয়ে দুঃস্থ যন্ত্রসঙ্গীত শিল্পীদের সহায়তা করার জন্যই অনুষ্ঠিত হবে ‘বইঠেক” এর বিশ্বব্যাপী অনলাইন অনুষ্ঠানটি

করোনার মতো বিপর্যয়ে দুঃস্থ যন্ত্রসঙ্গীত শিল্পীদের সহায়তা করার জন্যই অনুষ্ঠিত হবে ‘বইঠেক” এর বিশ্বব্যাপী অনলাইন অনুষ্ঠানটি

by Webdesk

করোনা আবহে স্থবির মানুষ। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে স্তব্ধ শিল্পীদের জীবন। বছরভর ব্যস্ত থাকা মানুষগুলো আজ ঘরবন্দি। ভালো নেই যন্ত্রসঙ্গীত শিল্পীরাও। দীর্ঘদিন ঘরবন্দি, শো বিহীন, আয়বিহীন অবস্থায় বসে থাকা শিল্পীদের কথা ভাবার মতো মানুষ খুব কম।

শিল্পীরা নিজের মনের ভাবনা, সহানুভূতি, সহমর্মিতাবোধ প্রকাশ করেন শিল্পের মাধ্যমেই। ঘরবন্দি হলেও সৃষ্টি কি থেমে থাকে! তাই সেই ভাবনাকে মাথায় রেখেই “বইঠেক” এর অবতারণা। করোনার মতো বিপর্যয়ে দুঃস্থ যন্ত্রসঙ্গীত শিল্পীদের সহায়তা করার জন্যই অনুষ্ঠিত হবে ‘বইঠেক” এর বিশ্বব্যাপী অনলাইন অনুষ্ঠানটি। অনুষ্ঠানটিতে অংশগ্রহণ করেছেন দিব্যেন্দু, মনোমিত, সুমিত, সুমন, মনীষ, জলধর এর মতো যন্ত্রসঙ্গীত শিল্পীরা। তাঁদের যোগ্য সঙ্গত করেছেন অমৃতা দত্ত, সৌম্য এবং প্রবীর বাবুর মতো বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পীরা। “বইঠেক” এর অনুষ্ঠানটি 13 ই জুন শনিবার সন্ধ্যা 6:30 মিনিটে ইন্ডিয়া টাইম থেকে লাইভ সম্প্রচার করা হবে। অনুষ্ঠানটির টিকিটের মূল্য মাত্র একশো টাকা। অনুষ্ঠান থেকে অর্জিত সমস্ত অর্থই দান করা হবে দুঃস্থ যন্ত্রসঙ্গীত শিল্পীদের।

“বইঠেক” এর মূল ভাবনাটি যিনি ভেবেছেন তিনিও একজন সঙ্গীত শিল্পী। শিল্পীরা শিল্প থেকে দূরে থাকলে যে ভালো থাকেনা সেই চিন্তাভাবনা থেকেই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা। বইঠেকের মূল উদ্যোগী প্রবীর বাবুর সাথে কথা হলে তিনি জানিয়েছেন, শিল্প ও সংস্কৃতি জগতের মানুষেরা এই দুঃসময়ে ভালো নেই। আর্থিক কষ্ট তো রয়েছেই সেই সঙ্গে রয়েছে ভালোবাসার কাজ থেকে দূরে থাকার কষ্ট। শিল্পীদের সাহায্য করার জন্য কিছু অনুষ্ঠান আগে হলেও যন্ত্রসঙ্গীত শিল্পীদের জন্য যন্ত্রসঙ্গীত শিল্পীদের নিয়ে অনুষ্ঠান করার ভাবনাটি প্রথম “বইঠেক” ই ভেবেছে। তিনি বলেন, শিল্পীরা শুধুই গান গাইতে পারেন কিন্তু সেই গানটিতে প্রাণ দেন যন্ত্রসঙ্গীত শিল্পীরা। শিল্পীর অসংখ্য ভুলভ্রান্তি আশ্চর্য জাদুতে লুকিয়ে ফেলেন তাঁরা। অথচ অনেক মানুষই তাঁদের মনে রাখেনা। অনুষ্ঠান বন্ধ তাই তাঁরাও অসুবিধার সম্মুখীন। এই ভুলে যাওয়া জাদুকরদের সাহায্য নয় সহায়তা করার জন্যই এই “বইঠেক”।
তিনি আরও বলেন, এই অনুষ্ঠানটি মানুষ খুব স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে গ্রহণ করেছে। শুধু দেশ থেকে নয় বিদেশ থেকেও বহু প্রবাসী বাঙালি শুভেচ্ছা বার্তা জানিয়েছেন। তিনি এই অনুষ্ঠানটির সফলতা আশা করেছেন।

মহামারীর আতঙ্কে মানুষ ক্রমশ স্বাভাবিক জীবন ভুলতে বসেছে। ভুলতে বসেছে অনুষ্ঠানের মঞ্চ, বেঁচে থাকার প্রয়োজন টাই আসল হয়ে দাঁড়িয়েছে। একদিন আবার সুন্দর সকাল আসবে। সেদিন শিল্পীরা আবার মঞ্চে উঠবেন, গান গাইবেন, অভিনয় করবেন। সেই আশায় বুক বেঁধে আছেন সবাই। কিন্তু তার আগে মানুষকে মানসিক দ্বন্দ্ব থেকে মুক্তি দেবে “বইঠেক” এর সুরেলা অনুষ্ঠানটি। করোনা ভাইরাসের পরবর্তী সময়টা খুব একটা সহজ নয় তাই মানুষকে বাঁচার আশা এবং দুঃস্থ শিল্পীদের শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার জন্যে “বইঠেক” অনুষ্ঠানটির উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। ভালো থাকুক শিল্পীরা বেঁচে থাকুক তাদের শিল্প।

ইভেণ্টের টিকিটের জন্য ক্লিক:- 

https://www.bengalwebsolution.com/webinar/

You may also like

Leave a Reply!