দুর্গাপুর, ১ নভেম্বর, ২০২০ঃ দুর্গাপুরের লকগেট ভেঙে যাওয়ায় ব্যারেজ প্রায় জলশূন্য হয়ে গেছে। এর প্রভাব পড়তে চলেছে পূর্ব ভারতের বৃহত্তম তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র মেজিয়াতে। ইতিমধ্যেই ওই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে জল সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। লকগেট ভেঙে যাওয়ার ১২ ঘন্টার মধ্যে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও জলের টানে তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। এদিকে ওই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের রির্জাভারে যা জল মজুত আছে তা দিয়ে আগামী ২ দিন পরিষেবা সচল রাখা যাবে কিন্তু এরপরে জল সরবারহ স্বাভাবিক না হলে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ঘাটতির আশঙ্কা করা হচ্ছে, সেক্ষেত্রে শিল্প থেকে রেল সবেতেই প্রভাব পড়বে।
আরও পড়ুন আমেরিকায় বেলাগাম করোনা, দিশাহারা প্রশাসন
অন্যদিকে লকগেট ভাঙার পিছনে অসাধু উপায় মাছ ধরার তথ্য উঠে এসছে। এক মৎস্যজীবী জানিয়েছেন এর আগেও মাছ ধরতে গিয়ে লকগেট ভেঙেছিল। এর পিছনে ব্যারেজ আধিকারিকরা যুক্ত। তাঁরাই মৎস্যজীবীদের বলে দেয় কখন আসতে হবে। ব্যারেজ আধিকারিকরাও মাছের ভাগ পান। তবে এভাবে চলতে থাকলে ফের লকগেট ভাঙার সম্ভাবনা রয়েছে। মেজিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে দৈনিক ২৩৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। এর জন্য প্রয়োজনীয় জল আসে দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে। আপৎকালীন পরিস্থিতির জন্য তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুটি রির্জাভার আছে যাতে ১৫ লক্ষ কিউবিক জল মজুত রাখা সম্ভব। আগামী দুদিনে জলসরবারহ শুরু না হলে বড় সমস্যার মুখোমুখি হতে পারে সমগ্র শিল্পক্ষেত্র।