বিহারের পূর্ণিয়ার সেই বাড়িতে আর পাঁচটা রবিবারের সঙ্গে এই রবিবারের কোনও তফাৎ ছিল না। সকাল দশটা নাগাদ বান্দ্রা থেকে হাসিখুশি গলার ফোনটাও এসেছিল। বাড়ির ছোটছেলে ফোন করে অসুস্থ বাবার খবরাখবর নিয়েছিলেন। এটা তাঁর রুটিন।
কে কে সিং, সুশান্তের বাবার শরীর ভালো নয়। তিনমাস লকডাউনে বাবাকে দেখতে আসতে পারেননি সুশান্ত। ফোন ভরসা ছিল শুধু। সবই ঠিক ছিল। আচমকা সেই আত্মীয়, সম্পর্কে সুশান্তের দিদিই হবেন, খবরটা দিলেন—‘কি মর্মান্তিক। টিভি খোলো।’
আরো পড়ুন – সুশান্তে তবে ‘ইতি’ টানছিলেন রিয়া? প্রশ্নচিহ্ন রয়েই গেল। সমস্ত উত্তর এখন না ফেরার দেশে
বাড়িতে ততক্ষণে আরও আত্মীয় হাজির। ভুল খবর কতই তো রটে। বৃদ্ধ সিং মশাই বিশ্বাস করেননি। তবু টিভিটা খুললেন। আর তারপর জ্ঞান ফেরেনি বহুক্ষণ হল।
বাড়িতে তখন আত্মীয়ের ঢল। একের পর এক মিডিয়া। শেষমেশ সুশান্ত সিং রাজপুতের পরিবার জোড়হাতে অনুনয় করতে বসলেন—বৃদ্ধ বাবাকে ছেড়ে দিন। বাড়ির সবচেয়ে ছোট ছেলের মৃত্যুর খবরটা তিনি এইমাত্র টিভি থেকে পেলেন। আপনাদের চেয়ে এক লাইনও আর বেশি জানেন না।
এখন তাঁদের অপেক্ষা—ছেলেটি ফিরছেন। না, সেই পূর্ণিয়ায় বন্যার সময় যেমন ত্রাণ নিয়ে তড়িঘড়ি ফিরেছিলেন, তেমন নয়।
এবার আরেকটু সময় নিয়ে। আরেকটু ক্ষতবিক্ষত হয়ে। পুরোটাই স্মৃতি হয়ে।
পোস্টমর্টেমের পর পূর্ণিয়াতেই ফিরবে সুশান্ত সিং রাজপুতের দেহ। খবর তেমনই। অপেক্ষা তেমনই।
আরো পড়ুন – আত্মহত্যা করলেন সুশান্ত সিং রাজপুত দেখুন সেই বেদনাদায়ক ছবি