Home প্রযুক্তি ঐতিহাসিক ঘটনা, সূর্যকেও ছুঁয়ে ফেলল মানুষ

ঐতিহাসিক ঘটনা, সূর্যকেও ছুঁয়ে ফেলল মানুষ

by banganews

অবশেষে সূর্যকেও ছুঁয়ে ফেলল মানুষ। বিশ্বের ইতিহাসে এই প্রথমবার সূর্যের আবহমণ্ডলে প্রবেশ করল কোনও মহাকাশযান। নাসা এই ঐতিহাসিক মুহূর্তটির কথা জানিয়েছে। লুইজিয়ানার নিউ অরলিন্সে মার্কিন জিওফিজিক্যাল ইউনিয়নের সভায় এক প্রেস কনফারেন্স ডেকে এই বিরাট সাফল্যের কথা ঘোষণা করেন নাসার হেলিওফিজিক্স বিভাগের ডিরেক্টর নিকোলা ফক্স। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর এই বছরের ২৮শে এপ্রিল সূর্যের আবহমন্ডলে প্রবেশ করেছে নাসার পার্কার সোলার প্রোব। সূর্যের ‘আলফ্ভেন পৃষ্ঠ’ নামে পরিচিত একটি সীমানা অতিক্রম করা প্রায় অসম্ভব ছিল। মহাকাশযানটি যে এই সীমানটি সত্যিই অতিক্রম করতে পেরেছে, তা নিশ্চিত করতে বেশ কয়েক মাস সময় লেগেছে বিজ্ঞানীদের। ১৯৪২ সালে নেটার পত্রিকায় এক গবেষণাপত্রে প্রথম এই সীমানাটির কথা বলেছিলেন সুইডিশ পদার্থবিদ হ্যানেস আলফ্ভেন । সেই থেকেই সূর্যের এই পৃষ্ঠ নিয়ে গবেষণা করছিলেন বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীদের একাংশের অনুমান ছিল, এই সীমানাটি বেশ অস্পষ্ট হবে। কিন্তু নাসার বিজ্ঞানীরা পার্কার সোলার প্রোবের পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতে জানিয়েছেন, সীমানাটি বেশ তীক্ষ্ণ এবং বেশ কোঁচকানো। কারণ, মহাকাশযানটি প্রায় পাঁচ ঘন্টার জন্য এই সীমানা পেরিয়ে করোনা অংশে প্রবেশ করেছিল। তারপরে বেরিয়ে যাওয়ার পরে আরও দুবার সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য আলফ্ভেন সীমানা অতিক্রম করেছিল পার্কার।

এই সাফল্য সূর্য সম্পর্কে বেশ কিছু অজানা তথ্যের সন্ধান দিতে পারে বলেই আশা করা হচ্ছে। সূর্য সম্পর্কে বহু তথ্যই অজানা যেমন, সূর্য থেকে কীভাবে সৌর বায়ু উৎপন্ন হয়? কেন সূর্যের পৃষ্ঠের তুলনায় এর করোনা অংশের তাপমাত্রায় বেশি? উল্লেখ, এই মহাকাশযানটি সৌর বায়ুর চৌম্বক ক্ষেত্রের অস্বাভাবিক ওঠাপড়া বা সুইচব্যাকও অধ্যয়ন করেছে। বিজ্ঞানীরা এই সুইচব্যাক সম্পর্কে আগে থেকে জানলেও, পার্কার সোলার প্রোবের পাঠানো তথ্য থেকে এই সুইচব্যাক সৌর পৃষ্ঠের নিচের দিকে ঠিক কোথা থেকে আসে তা খুঁজে পাওয়া গেছে। একই সঙ্গে সূর্য সম্পর্কে আরও অনেক অজানা তথ্য দিয়েছে এই অভিযান। পার্কার সোলার প্রোবের গবেষণালব্ধ ফলাফলগুলি ফিজিক্স রিভিউ লেটার্সে প্রকাশ করা হয়েছে।

 

২০২২ সালে এই পাঁচ রাশির ব্যক্তিরা পাবেন জীবন সাথী, জেনে নিন তালিকায় আপনি আছেন কি না

২০১৮ সালে ১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে তৈরি হয়েছিল পার্কার সোলার প্রোব। সূর্যের প্রবল তাপমাত্রা থেকে এই মহাকাশযানের যন্ত্রগুলিকে রক্ষা করছে একটি কার্বন-যৌগিক হিট শিল্ড। ১,৩৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে এই হিট শিল্ড। সূর্যের কাছ দিয়ে অন্তত ২৪ বার প্রদক্ষিণ করার লক্ষ্য রয়েছে পার্কার সোলার প্রোবের।

You may also like

Leave a Reply!