Home বিনোদন ট্রোলারদের যোগ্য জবাব দিলেন সুদীপা

ট্রোলারদের যোগ্য জবাব দিলেন সুদীপা

by banganews

ধনতেরাসের দিন সোনা কেনা নিয়ম রীতির মধ্যেই পড়ে। তাই ধনতেরাসের দিন সারা দেশজুড়ে সোনার দোকানের ভিড় তা তো নতুন কথা নয়।

ধনতেরাসের এই শুভ মুহূর্তে “রান্নাঘর”র সুদীপা চ্যাটার্জীও (Sudipa Chatterjee) তার সোনার নতুন কালেকশন নিয়ে হাজির হয়েছেন নেটিজেনদের সামনে। এবার তার কালেকশনের চমক দেখা গেল সোনার পৈতে। তাও আবার এই পৈতে নিজের ছেলে আদিদেব চ্যাটার্জীর (Adidev Chatterjee) জন্য। ছোট্ট আদির গলায় বাচ্চাদের সোনার পৈতে পরিয়ে সুদীপা তার স্টোরে সকলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

সুদীপার পোস্ট মানেই সোশ্যাল মিডিয়ায় হইচই। লাইক, কমেন্ট, প্রশংসা যেমন ঝরে পড়ে, তেমনই হু হু করে ধেয়ে আসে কটাক্ষ। এক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সোশ্যাল মিডিয়াতে সুদীপা উপনয়ন এবং সোনার পৈতে নিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরেছেন নিজের পোস্টে। তাতেও আপত্তি জানিয়েছে নেটিজেনদের। যদিও ট্রোলারদের অবশ্য যোগ্য জবাব দিয়েছেন সুদীপা এবং তার অনুরাগীরা।

আরো পড়ুন

যৌথতার গল্প বলবে “একান্নবর্তী”

সুদীপা তার পোস্টে লিখেছিলেন, “একটি শিশু জন্মানোর অনেক আগে থেকেই তার বাবা-মা,দাদু-ঠাকুমা,দিদিমা,পিসিমা,আত্মীয়-স্বজন,সবাই মিলে তার মঙ্গলকামনায় নানান কিছু করে থাকেন। একেই বলে ‘সংস্কার’। প্রাচীন মুনি-ঋষিরা তাই ‘দশবিধ সংস্কার’ এর কথা বলে গ্যাছেন। যেমন- মানবীয় গুণসম্পন্ন সন্তানলাভের আশায়- ‘গর্ভধারণ’, ’পুংসবন’, ‘সীমান্তায়ন’…. সন্তানের বুদ্ধি,মেধা বৃদ্ধির আশায়- ‘জাতকর্ম’… সন্তান জন্মানোর ৬/১০/১১/১২/২১/ কিংবা ১০০ তম দিনে-‘নামকরন’… সুস্বাস্হের আশায় ও প্রকৃতির সাথে পরিচিত করাতে- ‘অন্নপ্রাশন’… বিদ্যারম্ভের আগে,মাথার চুল ফেলে দেওয়া- ‘ চূড়াকরন’ ও বিদ্যারম্ভের অনুষ্ঠান ও তৃতীয় নয়নের উন্মোচনের আশায়- ‘উপনয়ন’।

এছাড়া রয়েছে- বিদ্যাশেষে ‘সমাবর্তন’ ও সবশেষে-‘বিবাহ’। অনেকেই মনে করেন- উপনয়নের দিন পরা পৈতে,আসলে বর্ণবিভেদ ও অহংকারের জন্ম দেয়। কিন্তু,ব্যাপারটা ঠিক তার উল্টো। পৈতে- পৈতেধারীকে বারবার মনে করিয়ে দেয়,সমাজে তার ধর্ম(পুজো নয় কিন্তু? এখানে দায়-দায়িত্বের কথা বলা হচ্ছে) পালনের কথা। তার শিক্ষার কথা। তার বিদ্যার কথা। মানুষের মধ্যে তার বিদ্যার্জনের ফলে প্রাপ্ত শিক্ষাকে ছড়িয়ে দেওয়ার কথা”।

এরপর নেটিজেনদের আমন্ত্রণ জানিয়ে তিনি লিখেছেন, “আগেকার দিনের মানুষ সোনার পৈতে পরতো। সেরকমই একটি প্রয়াস। কেমন লাগলো-জানাবেন। ছোটদের পৈতে মাত্র ৪০-৪৫ গ্রামে তৈরী। দেখতে আজই চলে আসুন- ১৫, বন্ডেল রোডে। সুদীপা চ্যাটার্জ্জী স্টোরে। আজ রাত ২:৩০’টে অবধি খোলা।”

এরপরেই শুরু হয় ট্রোলারদের মন্তব্য। জনৈক নেটিজেন লিখলেন, “চাণক্য উবাচ…… প্রয়োজনের অতিরিক্ত যাহা তাহা বিষ …শুধু ধনী মানুষরা যদি এটা বুঝতো…..”। জবাবে সুদীপা লিখলেন, “নিজের বুদ্ধি,আর পরের টাকা- সবসময়ে বেশি মনে হয়। – উবাচ( সুদীপা শিষ্যা)”। সুদীপার এই প্রত্যুত্তরে তার বুদ্ধির প্রশংসা করছেন নেটিজেনরা।

You may also like

Leave a Reply!