মৈনাক ভৌমিক পরিচালিত শেষ ফিচার ফিল্ম মুক্তি পেয়েছে “চিনি”। মা মেয়ের গল্প। ভালোবাসা-ভুল বোঝাবুঝি, নিত্যদিনের খুনসুটি, তারপরেও ভালোবাসা ঝগড়ায় মাখামাখি করে বড়ো হয়ে ওঠার গল্প “চিনি”।
মা মেয়ের সম্পর্কের গল্প। সে গল্পে ওঠা নামা আছে। প্রতিদিনকার জীবনের গল্প। বাস্তবের গল্প। মেয়েকে শিরদাঁড়া করে মায়ের বেঁচে থাকা আর মাকে শিরদাঁড়া করে মেয়ের বেঁচে থাকা – এমন নতুন গল্প নিয়েই সামনে এসেছিল “চিনি”।
এবার মৈনাক ভৌমিকের পরবর্তী সিনেমার শুটিং চলছে জুলাই মাস থেকে। সিনেমার নাম “একান্নবর্তী”। নামেই লুকিয়ে থাকে সিনেমার মূল গল্প। মূল উপজীব্য বিষয়। এক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
আরো পড়ুন
কসৌলির রাস্তায় পরমব্রত তনুশ্রী
একান্নবর্তী সিনেমার প্রতি পরতে যৌথতার কথা বলা আছে। একসাথে বাঁচার গল্প বলা আছে। এখন সময়টাই এমন যখন যৌথ পরিবার ভেঙে টুকরো হচ্ছে। পরিণত হচ্ছে নিউক্লিয়ার ফ্যামিলিতে।
সেখানে দাঁড়িয়ে ব্যানার্জী পরিবারেও একই সুর। বাড়ির পুজোকে কেন্দ্র করেই বাড়ির সকলে একজায়গায় আসে। পুজোর সময় সকলের উপস্থিতিতে ব্যানার্জিবাড়ি গমগম করে ওঠে। ফিরে পায় প্রাণ।
“একান্নবর্তী” আরো বেঁধে বেঁধে থাকার গল্প শোনাবে। বাড়ির পুজো যখন নিশ্চিহ্ন হতে বসেছে তখন এই পুরনো রেওয়াজের কথা মনে করাবে। এরকম একটা হতাশাগ্রস্থ সময়ে একসাথে বাঁচার গল্প, একসাথে ভালোবাসতে শেখার গল্প নিশ্চিতভাবেই ইতিবাচক অনুভূতির কথাই বলে। যখন মানুষ হারিয়ে ফেলছে পরিবার, একা হয়ে পড়ছে তখন পরিবার এবং ঐতিহ্য শব্দের মানে খুঁজে বের করতে চেয়েছেন পরিচালক।
ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন অপরাজিতা আঢ্য, সৌরসেনী মিত্র, অলকানন্দা রায়, অনন্যা সেন প্রমুখ। পরিচালকের পরিকল্পনা চিন্তা ভাবনাকে রক্ত-মাংসে জীবন দিয়েছে, প্রাণ দিয়েছেন শিল্পীদের অভিনয়।
খুব শীঘ্রই মুক্তি পাবে একান্নবর্তী। দেখা যাক, এ মৃতপ্রায় সময়ে যৌথতা বেঁচে থাকে কিনা, বাঁচিয়ে রাখা যায় কিনা।