গাছ কাটা নিয়ে চরম বিক্ষোভের মুখে পড়লেন উরিষ্যার বনদপ্তরের কর্তারা। বাণিজ্যিক বৃক্ষরোপনের স্বার্থে বনদপ্তরের কর্তারা দারিংবাড়ি ব্লকের পিদাদদাহ মাহা গ্রামের কেন্দু, মহুয়া, আমলা, বাহড়া আম, জাম, কাঁঠাল, বনৌষধির মত ফলদায়ক গাছ নির্বিচারে কেটেছেন। এই গাছ গুলির সাথে জড়িয়ে আছে সেখানকার আদিবাসীদের জীবিকা। গাছের ফল বিক্রি করেই চলত অনেকের সংসার। বনদপ্তর রাতের অন্ধকারে সেই গাছগুলিকে নির্বিচারে কেটে ফেলেছে। গাছেরও প্রাণ আছে একথা প্রমাণিত।
আরও পড়ুন করোনা আক্রান্তের নিরিখে জার্মানিকে ছাড়িয়ে গেল ভারত
রাতের অন্ধকারে যখন গাছের পাতারা ঘুমিয়ে ছিল, কান্ডরা ঘুমিয়ে ছিল সেই সময় হত্যা করা হয় গাছগুলিকে, তার সাথে মৃত্যু হয় ছোট ছোট পোকামাকড় ও সরীসৃপের। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন ওই এলাকার গ্রামসভার মানুষরা ও মহিলা উপজাতি। তারা বনদপ্তরের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। সেখানে ধর্ণায় বসে তারা। একেই করোনা নিয়ে সারা দেশ জেরবার। করোনা আবহে মানুষের হাতে কাজ নেই। আয়ের উৎস বন্ধ। এই অবস্থায় এইভাবে গাছ কেটে ফেলায় রীতিমত চিন্তায় দারিংবাড়ি ব্লকের পিদাদমাহা গ্রামের আদিবাসী সম্প্রদায়। কিভাবে চলবে তাঁদের সংসার এই চিন্তায় এখন ঘুম উড়েছে ওই এলাকার এই বিশেষ সম্প্রদায়ের। করোনা আবহের মধ্যেই বানিজ্যিক বৃক্ষরোপনের জন্য গাছ কাটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উরিষ্যার বনদপ্তর।
আরও পড়ুন WHO এর হাত ছেড়ে দিচ্ছে আমেরিকা
এইভাবে গাছগুলিকে নিধন করার ফলে ফরেস্ট ডিপার্ট্মেন্টের সামনে লাগাতার ধর্ণায় বসেছেন পিদাদমাহা গ্রামের মহিলা উপজাতি ও সেখানকার গ্রামসভার মানুষজন। করোনা আবহের মধ্যে তাঁদের জীবিকা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে এই গাছগুলি কেটে ফেলায়। আর সেই কারণেই বন দপ্তরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন স্থানীয় আদিবাসীরা।