Home দেশ আনারসের ভেতর বাজি পুরে খাইয়ে একটি হাতিকে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে।

আনারসের ভেতর বাজি পুরে খাইয়ে একটি হাতিকে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে।

by banganews

করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে সারাবিশ্ব যখন ঘরবন্দি তখন তারই মাঝে চরম এক অমানবিক হিংস্র ঘটনার সাক্ষী হয়ে থাকল কেরল। কেরল যেহেতু জল- জঙ্গলে ঘেরা রাজ্য তাই স্বভাবতই প্রচুর পশুপাখির স্বর্গরাজ্য এটি। তাই মাঝে মধ্যে লোকালয়ে পশুপাখির চলে আসাটা কোনো নতুন ঘটনা নয়। কেরালার মালাপ্পুরম এর সাইলেন্ট ভ্যালিতে আনারসের ভেতর বাজি পুরে খাইয়ে একটি হাতিকে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। কেরালার একজন জঙ্গল আধিকারিক এর ফেসবুক পোস্ট থেকে এই ঘটনা সামনে আসে।

এই ঘটনাটি ঘটেছিল সাইলেন্ট ভ্যালির আত্তাপাদি অঞ্চলে। এই ঘটনাটির বর্ণনা করতে গিয়ে সুরেন্দ্রকুমার, সাইলেন্ট ভ্যালির এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা মঙ্গলবার জানিয়েছেন যে হাতিটি ঐ বাজি ভর্তি আনারসটি চেবানোর পরই বাজির কারনে হাতিটির চোয়াল ভেঙ্গে যায়। এরপর আর হাতিটি কিছুই খেতে পারেনি। তবে এটা নিশ্চিত যে হাতিটিকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যেই এই আনারসটি খাওয়ানো হয়েছিল। সুরেন্দ্রকুমার আরও জানান যে, হাতিটি 27 শে মে মালাপ্পুরম জেলার ভেল্লিয়ার নদীতে মারা গেছে। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট থেকে জানা যায় হাতিটি অন্তঃসত্ত্বা ছিল। তিনি বলেন ফরেস্ট অফিসিয়াল দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যত দ্রুত সম্ভব অভিযুক্ত ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে যথাযথ শাস্তি প্রদানের ব্যবস্থা নেওয়ার।

আরো পড়ুন – অবশেষে এলো করোনা প্রতিষেধক – রাশিয়ার বিজ্ঞানীদের তরফ থেকে …

এই দুঃখজনক ঘটনাটি সামনে আসে মোহন কৃষ্ণান নামক এক জঙ্গল আধিকারিকের আবেগপ্রবণ ফেসবুক পোস্ট থেকে। তিনি দাঁড়িয়ে থাকা হাতিটির একটি ছবিসহ মালয়ালম ভাষায় লিখেছেন যে, ” যখন আমরা প্রথম হাতিটিকে দেখতে পাই তখন হাতিটি তার মাথাটি জলের মধ্যে ডুবিয়ে নদীর মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিল। হাতিটি ভেবেই নিয়েছিল ও আর বাঁচবে না। হাতিটি জলসমাধি গ্রহণ করেছিল।

কেরালার অরণ্য বিভাগের তরফে একটি হৃদয়গ্রাহী টুইট করা হয়েছে। ভারতীয় সংবিধানের Article 51-A (g) ধারাতে বলা হয়েছে যে প্রতিটি ভারতীয় নাগরিকের দায়িত্বই হল সবরকমের জীবিত প্রাণীর প্রতি সমবেদনা বজায় রাখা। মানুষ ও প্রকৃতির দ্বন্দ্বের জন্যই এই অন্তঃসত্ত্বা হাতিটিকে মেরে ফেলা হয়েছে। এই ঘটনাটির জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমাদের দায়িত্ব কোথায়? মানবিকতা কোথায়?
এই খবর শোনার পর মনে হয় মানবিকতার অবক্ষয়ের জন্যই আমরা ধ্বংসের দিকে হাঁটছি।

আরো পড়ুন – মুম্বাইয়ের কাছে আলীভাগে লাইফ শুরু হয়ে গেছে নিসর্গের। ল্যান্ড ফলের সময় ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় একশো কুড়ি কিলোমিটার।

ইমেজ কার্টেসি – ভট্টবাবুর পেজ (ফেসবুক) 

You may also like

Leave a Reply!