বাংলা সাহিত্যজগতে আবারও নক্ষত্রপতন। চলে গেলেন কিংবদন্তি বর্ষীয়ান সাহিত্যিক নিমাই ভট্টাচার্য। বৃহস্পতিবার টালিগঞ্জের বাড়িতেই প্রয়াত হন নিমাইবাবু। বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। শেষ কয়েক বছর ধরেই বার্ধক্যজনিত অসুখে শয্যাশায়ী ছিলেন তিনি।
১৯৩১ সালের ১০ এপ্রিল যশোর জেলায় নিমাইবাবুর জন্ম। মা‘কে পাননি আজীবন। তিনি চলে যান যখন ছেলের বয়স মাত্র তিন। বাবা সুরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যই মানুষ করেন ছেলেকে। ১৯৪৮ সালে ম্যাট্রিক পাশ করে ভর্তি হন কলকাতার রিপন কলেজে। কলেজে পড়তে পড়তেই শুরু করেন সাংবাদিকতা। দীর্ঘকাল সাংবাদিকতাও করেছেন। তবে সাংবাদিকতাকে ছাপিয়ে গিয়েছে তাঁর সাহিত্যকীর্তি। মেমসাহেব, পিয়াসা, ম্যারেজ রেজিস্ট্রার, অষ্টাদশী, ডিপ্লোম্যাট, নাচনী, ইমন কল্যাণ, ব্যাচেলর-এর মতো অসংখ্য উপন্যাস লিখেছেন তিনি।
আরও পড়ুন গুরুসদয়: সংস্কৃতিকে যিনি শৃঙ্খলায় বেঁধে জাগিয়েছিলেন বাংলাকে
তাঁর সাংবাদিকতার জীবনও কম বর্ণময় নয়। পেশাসূত্রে দীর্ঘ সময় কাটিয়েছেন দিল্লিতে। কাজ করেছেন অন্তত পাঁচটি সর্বভারতীয় সংবাদপত্রে। জওহরলাল নেহরু, মোরারজি দেশাই, ভি কে কৃষ্ণমেনন, লালবাহাদুর শাস্ত্রী, ইন্দিরা গান্ধি সহ অসংখ্য জাতীয় নেতা-নেত্রীর বিশেষ স্নেহভাজন ছিলেন নিমাইবাবু। প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হয়েছেন অনেকবার। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কেও নিমাইবাবুর পাণ্ডিত্য অতুলনীয়।
নিমাই ভট্টাচার্যের মতো সাহিত্য-সাংবাদিকতার মহীরুহ চলে যাওয়া মানে নিঃসন্দেহে তা অপূরণীয় ক্ষতি।