রাজ্য সরকার প্রত্যেকটি বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের জন্য মিড ডে মিল এর ব্যবস্থা করেছেন। কিন্তু লকডাউন পরিস্থিতি তে স্কুল বন্ধ থাকায় মিড ডে মিল দেওয়া সম্ভব হয়নি৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি সেই কারনে প্রত্যেকটি শিশুকে দুই কেজি করে চাল ও আলু দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। কিন্তু কিছু শিক্ষক অসাধু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মিলে নিম্নমানের চাল দেওয়ার সাথে যুক্ত এমনটা জানা যাচ্ছে ৷
এমন ঘটনার সাক্ষী রইল ক্যানিং এর একটি স্কুল, যেখানে ৯ জুলাই একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে পোকা ধরা চাল দেওয়ার৷ ঘটনাটি অভিভাবকদের নজরে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তারা ৷
ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ক্যানিং থানা এলাকার ধলির বাটি অঞ্চলে। ওই এলাকার কাঁকরা এস এস কে স্কুলের মিড মিলের চাল দিতে আসে স্কুলের শিক্ষক। বেশ কয়েকদিন ধরে অভিভাবকদের অভিযোগ ছিল, যে চাল এবং আলু শিশুদের দেওয়া হচ্ছে সে গুলো অতি নিম্নমানের। ওই স্কুলের শিক্ষকের বক্তব্য , তার কাছে যে চাল এসেছে সেই চালই দেওয়া হচ্ছে। অভিভাবকরা প্রশ্ন তোলেন, কোথা থেকে চাল আসছে? এরপর ওই শিক্ষক সবাইকে হুমকি দেয় বলে অভিযোগ ।
এ বিষয়ে কাউকে জবাব দেওয়া হবে না বলেও জানায় ওই শিক্ষক।
আর ও পড়ুন : হ্যাকারদের নতুন অস্ত্র টিকটক প্রো
এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা বেশ খানিকক্ষণ ঐ শিক্ষককে স্কুলের ভেতরে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখান। সেই সময় অভিভাবকরা প্রশাসনিক সাহায্য চাইলে, পুলিশ ঘটনাস্থলে আসতে অসম্মত হন। তারপর অভিভাবকরা ওই চাল নিয়ে ক্যানিং থানায় যান এবং পুলিশের পরামর্শ মতো ক্যানিং বিডিও অফিসে গিয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন ওই শিক্ষক এর বিরুদ্ধে। পরে ঘটনার সত্যতা জানার জন্য শিক্ষককে ফোন করা হলে ত৷র সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি৷ ক্যানিং বিডিও অভিযোগ পেয়েছেন বলে স্বীকার করেন। তিনি এও বলেন অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।