আমফান দাপটের পর আজ তৃতীয় দিন এখনো বহু জায়গায় বিদ্যুৎ ফিরে আসেনি। বিদ্যুৎ না থাকায় জল পাচ্ছেন না বহু মানুষ এবং যোগাযোগ ব্যবস্থাও বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন যে সি ই এস সি ই বেসকারী সংস্থা । সরকারের তরফ থেকে তাদের সাথে গত তিনদিন যথেষ্ট পরিমাণে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে এবং কোওর্ডিনেশন করা হচ্ছে যাতে সব অঞ্চলে তাড়াতাড়ি বিদ্যুৎ এসে যায়। সাধারণ মানুষকে এই পরিস্থিতিতে মানইয়ে নিতে হবে , তাদের বুঝতে হবে বাস্তব সমস্যাটা। একদিকে লকডাউনের জন্য কর্মীরা বাড়ি চলে গেছেন অনেকে এবং পরিবহন ব্যবস্থা স্বাভাবিক না থাকায় তারা ফিরেও আসতে পারছেন না দূর্যোগ পরবর্তী পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য ।
আমফান কী জাতীয় বিপর্জয় ? কী বলছেন মুখ্যমন্ত্রী?
পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী সি ই এস সি ই -কে বলেছেন ১৫০ টি জেনারেটর ভাড়া করতে । যারা জলকষ্টে ভুগছেন যযেসব মানুষ সেই সমস্ত এলাকায় যাতে অন্তত পৌঁছে দেওয়া যায় এবং পরিস্থিতি কিছুটা হলেও ঠিক হয়। যতক্ষণ না পর্যন্ত সব স্বাভাবিক হচ্ছে এভাবেই একে ওপরের সাহায্য করে কাজ করতে হবে আমাদের দুর্যোগ পরবর্তী পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য প্রয়োজন সংঘবদ্ধ মানসিকতা ।
আমফানের দাপটে পশ্চিমবঙ্গের কোথায় কোথায় কত ক্ষতি একনজরে
GOWB mobilizes maximum strength in unified command mode on 24×7basis for immediate restoration of essential infrastructure and services asap. Army support has been called for;NDRF and SDRF teams deployed; Rlys,Port & private sector too requested to supply teams and equipment(1/3)
— HOME DEPARTMENT – GOVT. OF WEST BENGAL (@HomeBengal) May 23, 2020
রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরের তরফ থেকে টুইট করা হয়েছে সর্বশক্তি দিয়ে স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে পানীয় জল এবং নিকাশী ব্যবস্থার । চাওয়া হয়েছে সেনাবাহিনীর সাহায্য । গাছ কাটতে বিভিন্ন দফতরের প্রায় ১০০টির বেশি দল কাজ করছে । স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে যোগাযোগ ব্যবস্থাও । দিন রাত কাজ করে দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিকের চেষ্টা চলছে এমনই জানা গেছে এই টুইট থেকে। তিনদিন আগে আমফানের দাপটে উপকূলবর্তী জেলা সহ মহানগরী কলকাতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিশেষভাবে। একদিকে মানুষ লড়াই করছে কোভিড ১৯ এর সাথে তার দাপটে পর্যুদস্ত মানুষের ওপর আবার দ্বিতীয় আঘাত হানলো আমফান।