Home দেশ আমফানের দাপটে পশ্চিমবঙ্গের কোথায় কোথায় কত ক্ষতি একনজরে

আমফানের দাপটে পশ্চিমবঙ্গের কোথায় কোথায় কত ক্ষতি একনজরে

by banganews

আমফানের দাপটে তছনছ বাংলা। একদিকে মারণ ভাইরাসের প্রকোপে বিশ্ব তটস্থ। দিন আনি দিন খাই মানুষের হাতে কাজ নেই পেতে ভাত নেই। হেঁটে হেঁটেই ঘরে ফিরতে চাইছেন শ্রমিকরা । জল না পেয়ে , খাবার না পেয়ে পথেই মারা যাচ্ছেন অনেকে। অসহায় হয়ে আমরা শুধু দেখছি এই ধ্বংসলীলা । এরই মাঝে হানা দিল সুপার সাইক্লোন আমফান। বিগত বেশ কয়েকটি ঝড় পশ্চিমবাংলার পাশ ঘেঁষে বেরিয়ে গেছে আর সেই দাপট সহ্য করেছেন বাংলাদেশের মানুষ। একের পর এক মারণ-ঝড়ে বিপর্যস্ত হয়েছে বাংলাদেশের মানুষের জনজীবন। বহু বছর পর আমফান ঝড় নিজের গতিপথ চিহ্নিত করলো পশ্চিমবাংলাকে। ৫-৬ ঘণ্টব্যাপী টানা তাণ্ডব করে গেল বাংলার বুকের ওপর দিয়ে। ঝড়ের রাতের নিচ্ছিদ্র অন্ধকারে আমরা অপেক্ষা করে থেকেছি প্রলয় শেষের । সকাল হতেই খবর আসতে শুরু করলো ক্ষয় ক্ষতির। উপকূল অঞ্চলের মানুষের বাঁধ ভেঙে ব্যহত হয়েছে জীবনযাত্রা। মাটির চালা বাড়িতে বসবাস করেন যেসব মানুষ তাদের করোনার সাথে লড়াই করার জন্য সোশ্যাল ডিসটেন্স বজায় রাখা এখন প্রহসনে পরিণত হয়েছে । তারা দল বেঁধে আশ্রয় নিয়েছেন আশেপাশের পাকা বাড়িগুলিতে। সকালে বেরিয়ে দেখেছেন ভেসে গেছে ঘরের চাল ভেঙে পড়েছে মাটির ভিত।

আরো পড়ুনঃ সাগরদ্বীপে দ্রুত ত্রাণ পাঠানোর কাজ শুরু প্রশাসনের।

খবর আসতে শুরু করে বিভিন্ন জেলা থেকে । বারুইপুরের সমস্ত ফলের বাগান নিশ্চিন্ন । ক্ষতির পরিমাণ হিসাবই করতে পারছেন না মালিকরা কারণ আস্ত নেই একটা গাছের ডালও । সিঙ্গুরে জেনারেটর চালিয়ে কাজ করছেন বাসিন্দারা। এক ঘন্টায় প্রায় চার হাজার টাকা ভাড়া নেওয়া হচ্ছে । এখন তাদের কাছে ভরসা শুধু জেনারেটর। কবে বিদ্যুৎ আসবে সেই নিয়ে কেউই কিছু বলতে পারছেন না।
নন্দীগ্রামের শংকর পেশায় রিকশা চালক। কলকাতা যাদবপুর এলাকায় রিক্সা চালিয়ে চলে যাচ্ছিল দিন কিন্তু লকডাউনের জন্যে চলে আসতে হয় বাড়িতে । জমানো টাকাতে যদিওবা ছেলে-বউসহ তিনজনের পরিবার চলছিল কোনোমতে তার ওপর ঝড়ের রাতে বাড়ির ওপর পড়ে যায় ইউক্যালিপটাস গাছ । শেষ আশ্রয় মাথার ছাদটুকুও হারিয়েছেন তারা। আয়লার ক্ষত এখনো নিরাময় হয়নি কাকদ্বীপবাসীর তারই মধ্যে আছড়ে পড়ল আর এক ঝড়ের প্রকোপ । খবর আসতে থাকে হাওড়া , হুগলি সব জেলা থেকে। বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মারা যাওয়ার খবর। ঐতিহ্যের গরিমা গায়ে নিয়ে বেঁচে থাকা পুরোনো বাড়ি , গাছ একে একে নিশ্চিন্ন হতে থাকে । বাদ যায়নি খোদ কলকাতা মহানগরীও । কলকাতার বুকে ভেঙে পড়েছে প্রায় পাঁচ হাজার গাছ, বিদ্যুৎ খুঁটি পড়েছে প্রায় আড়াই হাজার। নেই জল সরবরাহ , মোবাইল সংযোগ ,বিদ্যুৎও । এই বিশাল ক্ষতি থেকে ঘুরে দাঁড়াতে কলকাতার পৌরসভার মেয়র সবার থেকে সময় চেয়েছেন সাত দিন তার মধ্যে সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদী।

আরো পড়ুনঃ আমফানে বিধ্বস্ত বাংলার জন্য মন ভারাক্রান্ত শাহরুখের! 

এরই মধ্যে পুরসভা দপ্তরের কর্মীরা , বিদ্যুৎ বিভাগের মানুষজন অনলস পরিশ্রম করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছেন । আমরা আশা রাখি পশ্চিমবাংলা এই ক্ষতি সামলে উঠতে পারবে খুব তাড়াতাড়ি।

You may also like

Leave a Reply!