অবশেষে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে চলেছে সাধারণ মানুষ। লকডাউনের পাশাপাশি আনলক ১ শুরু হয়েছে, ট্রেন চালু না হলেও পথে বাস অটো ট্যাক্সির দেখা মিলেছে। ফেরি সার্ভিসও শুরু হয়েছে। কিন্তু জনসাধারণের অধিকাংশ ট্রেন পথে আসে শহরে কাজের সূত্রে, ফলে ট্রেন বন্ধ থাকায় অফিস খুলে গেলেও সমস্যার মধ্যে পড়েছে তারা। বাসে , অটোতে অফিসে আসতে রীতিমত নাজেহাল হচ্ছেন নিত্যযাত্রীরা। আগের থেকে বাসের সংখ্যা অনেক কমে যাওয়ায় আরও সমস্যার মধ্যে পড়েছেন যাত্রীরা। ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করে অফিস পৌঁছাতে লেট হয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। এর মধ্যেই আশার খবর শোনাল ভারতীয় রেল।
আরো পড়ুন – এ যেন রূপকথার গল্পের মতোই বদলে যাচ্ছে কংক্রিটের এই শহরের চারপাশ।
হাওড়া ডিভিশনে খুব শীঘ্রই চালু হতে চলেছে লোকাল ট্রেন এমনই জানিয়েছে পূর্ব রেল। তবে বেশ কিছু বিধিনিষেধ মেনেই ট্রেনে উঠতে পারবেন যাত্রীরা। স্টেশনে প্রবেশ ও প্রস্থানের সময় থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। অফিস টাইমের ভিড়ের কথা মাথায় রেখে কীভাবে বিধিনিষেধ মেনে পরিষেবা চালু করা যাবে তা খতিয়ে দেখতে সরেজমিনে হাওড়া ডিভিশনের প্রতিটি স্টেশন পরিদর্শন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট অফিসারদের।
পূর্বরেল সুত্রে খবর প্রতিটি ডিভিশনে ট্রেন পরিষেবা চালু করার কথা চিন্তা করা হচ্ছে, আগে হাওড়া ডিভিশনে কিভাবে বিধিনিষেধ সুরক্ষিত করা যায় তার একটা রিপোর্ট ১০ দিনে তৈরি করতে বলা হয়েছে। তারপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে রেলমন্ত্রক। হাওড়ার পর শিয়ালদহসহ সব ডিভিশনে একই রকম চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে বলে সুত্রের খবর। অন্যদিকে ১৮ তারিখ থেকে লকডাউনের সম্ভবনা উড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্র।
আরো পড়ুন – কেঁপে উঠল গুজরাত : রিখটার স্কেল ৫.৫
তবে সংক্রামিত এলাকা কড়া হাতে পালন করা হবে। শহর বা রাজ্য অচল করা হবে না বলে জানানো হয়েছে। পূর্বরেলের এক কর্তার কথায় ““রেল সব সময়ই তৈরি। যখনই ট্রেন চালানোর নির্দেশ আসবে, পরিষেবা শুরু হবে। আমারা প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি। তবে এখনই কোনও নির্দেশ আসেনি।” ট্রেন চালু হলে যাত্রা শুরু থেকে গন্তব্যে পৌঁছানোর মধ্যে যাতে যাত্রী দুর্ভোগ না হয় সেইদিকে নজর রাখা হবে, এর পাশাপাশি মেট্রো রেল পরিষেবা শুরুর কথা ভাবা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ট্রায়াল রান শুরু করেছে কলকাতা মেট্রো। তবে সবটাই রেল বোর্ডের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে।