Home দেশ [আজ ঠিক একবছর হল তিনি নেই। রয়ে গেছে তাঁর আলো। গিরিশ কারনাড। ফিরে দেখলেন মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায়]

[আজ ঠিক একবছর হল তিনি নেই। রয়ে গেছে তাঁর আলো। গিরিশ কারনাড। ফিরে দেখলেন মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায়]

by Webdesk

অলৌকিক আলো

[আজ ঠিক একবছর হল তিনি নেই। রয়ে গেছে তাঁর আলো। গিরিশ কারনাড। ফিরে দেখলেন মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায়]

কোথায় অক্সফোর্ড আর কোথায় প্রাচীন ভারতের পৌরব রাজবংশ! মাত্র ২২ বছরের এ তরুণ কোন ধ্যানে যে হারিয়ে বসে থাকতেন! কে বলবে তিনি দুটো হিসেবি বিষয়ের গ্র্যাজুয়েট। অঙ্ক আর স্ট্যাটেসটিক্স।

আরো পড়ুন:-ভালোবাসায় মানুষ কী না করে।তাই বলে জরিমানা ১০ লাখ!
স্কলারশিপে পড়তে আসা অক্সফোর্ডে। তিনি কিনা ডুবে আছেন মহাভারতে। সি রাজাগোপালচারিয়ার অনুবাদগাথা পড়তে পড়তে এত তন্ময় এই তরুণ, যে, সময় দূরত্ব যুগ প্রেক্ষাপট সব যেন তাঁর চারপাশে ভেঙেচুরে মিলেমিশে একসা।
নিবিষ্ট চিত্তে তিনি তখন শুনে চলেছেন এক অলৌকিক কথোপকথন— দৈত্যগুরু শুক্রাচার্য আর তাঁর জামাতা চক্রবর্তী সম্রাট যযাতির মধ্যে। প্রতিটি শব্দ ধ্বনিত হচ্ছে তাঁর কানে। আর তাঁর হাত লিখে চলেছে আশ্চর্য সেই উপাখ্যান, ‘যযাতি’।

আরো পড়ুন:-পায়ে চোট পেয়ে লেঙ্গুর নিজেই চলে গেল হাসপাতাল
সাল ১৯৬১। সে লেখা প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে তুমুল আলোড়ন সারা দক্ষিণ ভারতে। অসংখ্য ভাষায় অনূদিত তো হলই, সেই সঙ্গে মূল লেখাটি মঞ্চসফল নাট্যরূপ হিসেবে সম্মানিতও হল।
তবু মানুষটি যযাতি নিয়ে নির্বিকার। মগ্ন। ততটাই আত্মবিস্মৃত। প্রৌঢ় জীবনেও যযাতি প্রসঙ্গে একটাই উত্তর—‘গোটা ব্যাপারটাই তো কানে ডিকটেশন পেয়েছি’।
গিরিশ কারনাড। যৌবনের শুরু থেকে এমনই আত্মমগ্ন, সময়োত্তীর্ণ, মহাকাব্যিক!

আরো পড়ুন:-নদিয়ার কল্যাণীতে শুরু হচ্ছে সোয়াব টেস্ট

You may also like

Leave a Reply!