নন্দীগ্রাম, ১০ নভেম্বর, ২০২০ঃ “নন্দীগ্রাম থেকেই আমাদের বাংলায় দ্বিতীয় স্বাধীনতা আন্দোলন হয়েছে। নন্দীগ্রাম, সিঙ্গুর, ভাঙ্গড় না থাকলে আমরা সিপিএমকে সরাতে পারতাম না। ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনের কথা বলব আর মহাত্মা গান্ধীর কথা বলব না সেটা যেমন হয় না, তেমনই নন্দীগ্রাম, সিঙ্গুর ও ভাঙ্গড় আন্দোলনের কথা বলতে গেলে প্রথমে যার নাম আসে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া সিঙ্গুর সম্ভব নয়, ভাঙ্গড় সম্ভব নয়, নন্দীগ্রাম সম্ভব নয়। নিশ্চিত ভাবে এটা হাজার হাজার মানুষের আন্দোলন। কিন্তু মূল কান্ডারী ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।” নন্দীগ্রামে শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকে মঙ্গলবার এমনই বার্তা দিলেন তৃণমূলনেতা ফিরহাদ হাকিম। শুধু দল ও দলনেত্রীর আন্দোলনের কথাই নয়, এই সভা থেকে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করতেও ছাড়েননি তিনি।
আরও পড়ুন গ্রাহকদের সাবধান করল এস বি আই
ফিরহাদ হাকিম বলেন, “আমরা বলি আমরা কেউ হেলিকপ্টারে আসিনি। আমরা প্রত্যেকেই সিঁড়ি দিয়ে উঠেছি। কিন্তু সেই সিঁড়িটা কে তৈরি করেছেন? তিনি হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফিরহাদ হাকিমকে কেউ চিনত না যদি না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাজ করার সুযোগ দিয়ে সিঁড়িটা তৈরি করে দিতেন।
তিনি আরও বলেন, “যেদিন নন্দীগ্রামকে ভুলে যাব, সিঙ্গুর ভুলে যাব, ভাঙ্গড় ভুলে যাব এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলন ভুলে যাব সেদিন মন্ত্রী হিসেবে থাকার অধিকার আমার নেই। তাই জীবন থাকতে কোনদিন ভুলবো না।”
এলাকাবাসীদের উদ্দেশ্যে ফিরহাদ বলেন, “আমি সবাইকে বলব এমন কিছু করবেন না যাতে বিজেপি হাত শক্ত করে। সিপিএমের বিরুদ্ধে নন্দীগ্রাম লড়েছে। সারা বাংলা লড়েছে। সেই সিপিএমের থেকেও ডেঞ্জারাস পার্টি বিজেপি। যারা বাংলায় আজ জোর চালানোর চেষ্টা করছে। মমতা ব্যানার্জির বিরোধিতা করার অর্থ বিজেপির হাত শক্ত করা। এটা প্রমাণ হয়ে গেছে। ধর্ম নিরপেক্ষতার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”
আরও পড়ুন লোকাল ট্রেন নিয়ে রাজ্য কে গুরত্বপূর্ণ নির্দেশ হাইকোর্টের
“যারা ভাবছেন পালে হাওয়া দিয়ে বিজেপির হাত শক্ত করব, তারা মূর্খের স্বর্গে বাস করছেন। বাংলার মানুষ এটা হতে দেবে না।”
আরও একাধিক ইস্যুতে বিজেপির বিরুদ্ধে একহাত নেন ফিরহাদ হাকিম। দলীয় নেতা-কর্মীদের আবেদন জানান দলবদল করে বিজেপির হাত শক্ত না করতে। মানুষের জন্য কাজ না করে বাংলার সিংহাসনের লোভে মানুষকে ব্যবহার করতে চাইছে বিজেপি, এদিনের সভা থেকে এমনই মন্তব্য করেন তৃণমূলনেতা।