মুম্বইয়ে অবহেলার বেদনাদায়ক ছবি। দুই হাসপাতাল ভর্তি করতে অস্বীকার করায় করোনার কাছে হেরে গেলেন অ্যাম্বুল্যান্স সার্ভিসের সঙ্গে যুক্ত এক ডাক্তার শওকত আলি। বয়স হয়েছিল মাত্র ৪৫ বছর। মুম্বইয়ের মালাডে চার বছর ধরে ১০৮ অ্যাম্বুল্যান্স সার্ভিসের সঙ্গে জড়িত ছিলেন শওকত। কিছু দিন আগে শরীর খারাপ হওয়ায় রক্তপরীক্ষা করেন। জানা যায়, টাইফয়েড রয়েছে। মালওয়ানির বাড়িতে থেকেই ওষুধ খাচ্ছিলেন তিনি। গত শুক্রবার পরিস্থিতি খারাপ হয়। শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। ১০৮ অ্যাম্বুল্যান্স সার্ভিসে ফোন করা হলেও কেউ তোলেনি। শওকতের ভাইপো জুবের শেখ কাকার সহকর্মী চিকিত্সক নিগমের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাঁরা একটি অটোয় করে মালাডের এসকে পাটিল হাসপাতালে নিয়ে যান শওকতকে। সেখান থেকে তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এর পর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় দেশাই হাসপাতালে। প্রথমে রাজি থাকলেও, পরে ডাক্তাররা জানিয়ে দেন, সেখানে কোনো বেড ফাঁকা নেই। নিরুপায় হয়ে শওকতকে বাড়িতেই নিয়ে আসেন তাঁরা।
আরও পড়ুন : করোনায় মৃত্যু হল বিধায়ক জে আনবাজাগানের
জুবের বলেন, ‘পরে অবস্থা আরও খারাপ হয়। শেষমেশ অনেক চেষ্টা করে শতাব্দী হাসপাতালে ভর্তি করতে পারি। রবিবার রিপোর্ট আসে, কোভিড পজিটিভ। চিকিৎসকরা তাঁকে ভেন্টিলেশনে রেখে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়।’ অসহায় জুবেরের মন্তব্য, ‘দেশাই হাসপাতাল চাচাকে ভর্তি করে নিলে আজ উনি বেঁচে থাকতেন। এটা খুবই দুঃখের, যে ডাক্তার এই মহামারীর মধ্যে কাজ করে যাচ্ছিলেন, তিনিও সরকারি হাসপাতাল থেকে কোনও সাহায্য পেলেন না।’