Home দেশ টমাস স্টিভেন্স সানফ্রানসিসকো থেকে রওনা হয়ে সাইকেলেই সর্বপ্রথম বিশ্বভ্রমণ করেন৷

টমাস স্টিভেন্স সানফ্রানসিসকো থেকে রওনা হয়ে সাইকেলেই সর্বপ্রথম বিশ্বভ্রমণ করেন৷

by banganews

সাইকেল আমাদের সবার জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে৷ স্কুল কলেজ বাল্যকাল পেরিয়ে আসা সদ্য কিশোরী বা তারুণ্যে ভরপুর যুবকের কাছে সাইকেল মুক্তডানা, পক্ষীরাজের ঘোড়া৷ বদ্ধ ঘর থেকে মুক্তির আস্বাদ, পকেটের টানাটানি থাকলেও যে অনায়াসে সঙ্গ দেয়,যে দুটি চাকায় উচ্ছল প্রাণের বিশ্বভ্রমণ হয়,সেই সাইকেলের জন্যই আজকের দিনটি বিশেষ। এপ্রিল ২০১৮ তে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ৩ জুন দিনটিকে আন্তর্জাতিক বিশ্ব সাইকেল দিবস হিসাবে ঘোষণা করে৷ বিশ্ব সাইকেল দিবসের প্রস্তাবটি সাইকেলের স্বতন্ত্রতা, এবং বহুমুখিতাকে স্বীকৃতি দেয়। দুই শতাব্দী ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসা সাইকেল দীর্ঘায়ু, দূষণ মুক্ত, সাশ্র‍য়ী যান।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যাপক লেজেক সিবিলস্কি বিশ্ব বাইসাইকেল দিবসের জন্য একেবারে সমাজের নিম্নস্তর থেকে প্রচার শুরু করেন সমাজবিজ্ঞানকে সঙ্গে নিয়ে। নীল এবং সাদা রঙে কয়েকজন সাইকেল আরোহী এবং একটি চাকার মাধ্যমে লোগোটি দেখানো হয়৷ বহু প্রচেষ্টার পর অধ্যাপক সিবলস্কি তুর্কমেনিস্তান এবং অন্যান্য ৫৬ টি দেশের সমর্থন পেয়েছিলেন৷

ওয়ার্ল্ড বাইসাইকেল ডে লোগো আইজাক ফিল্ড ডিজাইন করেছিলেন এবং অ্যানিমেশনটি করেছিলেন অধ্যাপক জন ই সোয়ানসন। এটি বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন ধরণের সাইকেল চালকদের চিত্রিত করে। লোগোর নীচে হ্যাশট্যাগ # জুন ৩ ওয়ার্ল্ড বাইসাইকেলডে। সাইকেলটি মানবতার প্রতীক৷ চাকায় সমস্ত পৃথিবীর প্রদক্ষিণ প্রতীকায়িত।

আরো পড়ুন – মালয়ালম নিজে একবর্ণও বলতে পারেন না তবু ছবি বানিয়েছেন সেই ভাষাতেই !! ছবিটি দেখানো হবে কান চলচ্চিত্র উৎসবে

বিশ্ব সাইকেল দিবস একটি বিশ্বব্যাপী ছুটি। বিশেষ বৈশিষ্ট্য নির্বিশেষে সমস্ত মানুষ এই ছুটি উপভোগ করতে পারেন। মানব অগ্রগতি এবং অগ্রগতির প্রতীক হিসাবে সাইকেল সহনশীলতা, পারস্পরিক বোঝাপড়া,স্বাধীন, আত্মনির্ভর, পরিবেশবান্ধব শান্তির সংস্কৃতির প্রতীক বহন করে৷

টমাস স্টিভেন্স ১৮৮৪-র ২২ এপ্রিল, সকাল আটটায় সানফ্রানসিসকো থেকে রওনা হয়েছিলেন, তারপর সাইকেলেই সর্বপ্রথম বিশ্বভ্রমণ করেন৷
কলকাতার বিবর্তনের ইতিহাসে অনেক যানবাহন বিলুপ্ত হয়ে গেলেও থেকে গেছে সাইকেল৷ পালকি, ঘোড়ায় টানা ট্রাম, দোতলা বাস আজ আর দেখা যায় না কিন্তু সাইকেল আজও স্বমহিমায় বিরাজমান৷

আরো পড়ুন – রামকিঙ্কর বললেন হয়তো কাউকে চুমু খেতেই সে মুখ নামিয়েছে, বলেই একটু চুপ করে গেলেন কারণ যাকে বলছেন কথাটা তিনি স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ।

শোনা যায়, রবীন্দ্রনাথের বড়দাদা দ্বিজেন্দ্রনাথ সাইকেল চেপে হাওয়া খেতে যেতেন চৌরঙ্গী অঞ্চলে। সে ছিল প্রথম যুগের তিনচাকাওয়ালা ট্রাইসাইকেল। তারও আগে ছিল ট্যান্ডেম, একসঙ্গে অনেকে মিলে চালানো যায়। শঙ্খ ঘোষের কবিতার মতই বেঁধে বেঁধে থাকা । এই ট্যান্ডেম বানিয়েছিলেন সাঁতরাগাছির বাসিন্দা প্রসন্নকুমার ঘোষ। ভারতে তাঁর তৈরি সাইকেলটিই হল প্রথম সাইকেল। অবস্থাপন্ন লোকজন অবশ্য তারও আগে বিলাত থেকে আনাতেন প্যাডেলহীন ভেলোসিপেড সাইকেল।

আরো পড়ুন – দু তক্তা শ্রীরামপুরী কাগজ লম্বালম্বি চার টুকরোয় কেটে গদের আঠা দিয়ে জুড়ে রাখা হয়েছে। জিনিসটার নাম দেওয়া হয়েছে ‘স্বপ্নের মোড়ক’।’ : ঠাকুরবাড়ির গল্প

You may also like

Leave a Reply!