আসন্ন একুশের বিধানসভাকে পাখির চোখ করে লড়াইয়ের আগে সাংগঠনিক স্তরে নিজেকে গুছিয়ে নিল তৃণমূল কংগ্রেস। দলের সাংগঠনিক স্তরে বড়সড় রদবদল ঘটাল রাজ্যের শাসক শিবির। মাওবাদী সন্দেহে দীর্ঘকাল জেলবন্দি থাকার পর গত বছর মুক্তিপ্রাপ্ত ছত্রধর মাহাতোকে এবার সরাসরিই নিয়ে আসা হল তৃণমূলের রাজ্য কমিটিতে। ছত্রধরের মতো প্রভাবশালী ব্যক্তি একমুহূর্তে দলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একটা বড় অংশ। দীর্ঘদিনের পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করেই তাকে রাজনীতির আঙিনায় ফিরিয়ে আনলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য কমিটির নতুন সদস্য হিসেবে স্থান পেলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, সুকুমার হাঁসদা, চূড়ামণি মাহাতো।
আরও পড়ুন আজ তৃণমূলের দলীয় কর্মীসদস্যদের সঙ্গে বৈঠক মমতার
এক দশক পরে জেল থেকে মুক্তি পেয়েই তৃণমূলের পাশে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন লালগড় আন্দোলনের অন্যতম প্রধান মুখ ছত্রধর মাহাতো। দশ বছর চার মাসের বন্দিদশার পর, জেল থেকে বেরিয়ে একবছরের মধ্যে তৃণমূলে নাম লেখালেন জনসাধারণ কমিটির এই নেতা।
রাষ্ট্রদ্রোহিতা ও বেআইনি কার্যকলাপের অভিযোগে ইউএপিএ-তে দোষী সাব্যস্ত হন ছত্রধর। পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ড এই দু’রাজ্য মিলিয়ে তার বিরুদ্ধে মোট ২৩ খানা মামলা দায়ের হয়েছিল।
আরও পড়ুন আজ গোটা বাংলায় লকডাউন, করোনা পরিস্থিতিতে কেমন আছে মহানগরী ?
গত লোকসভা নির্বাচনে জঙ্গলমহল এবং উত্তরবঙ্গে গেরুয়া শিবিরের কাছে পরাজয় শিক্ষা দিয়েছে শাসকদল তৃণমূলকে। ক্ষমতায় আসার সময় রীতিমতো জঙ্গলমহল তৃণমূলের দূর্গ ছিল। মাওবাদী সমস্যা মিটিয়ে, শান্তি স্থাপন সেখানকার জনসমর্থন জিতে দিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। জঙ্গলমহলের ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া থেকে তৃণমূলের প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে গত লোকসভায়। সেই জঙ্গলমহলে তৃণমূলের হৃত গৌরব ফেরাতে এবার রাজ্য কমিটিতে ছত্রধর মাহাতো।