Home দেশ বায়োকন পরীক্ষিত কোভিড ড্রাগের ফলাফল আশাজনক

বায়োকন পরীক্ষিত কোভিড ড্রাগের ফলাফল আশাজনক

by banganews
বায়োকন ফার্মাসিউটিক্যালস করোনা প্রতিষেধক নির্মাণের বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতায় বারংবার সমালোচিত হয়েছে তাদের নির্দিষ্ট ড্রাগ ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের প্রতিটি ধাপে যথোচিত সময় না ব্যয় করার দরুন। প্রয়োজনের তুলনায় কম সময়ে ড্রাগ প্রস্তুতির জন্য নির্ধারিত পর্যবেক্ষণ ব্যাপ্তি না দিয়েই পরবর্তী ধাপে অগ্রসর হয়েছে তারা। এতদসত্ত্বেও তাদের প্রস্তাবিত ড্রাগ ইটোলিজুম্যাব অন্তিম পরীক্ষাতেও আশাজনক ফল দেখিয়েছে।
ইতিমধ্যেই ড্রাগটি প্রয়োজনীয় অনুমোদন পেয়েছে ভবিষ্যৎ গবেষণার জন্য। এমনকি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে এর প্রয়োগ বাঁচিয়েছে অনেক দুরারোগ্য রোগীর জীবন। বায়োকন কোম্পানির একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন বাজারে এলে এর একেকটি ভাইরালের দাম হবে ৮,০০০ টাকা, সমগ্র কোর্সটির খরচ পড়বে মোট ৩২,০০০ টাকা। বায়োকনের এক্সিকিউটিভ চেয়ারপারসন কিরণ মজুমদার জানিয়েছেন ওষুধটিকে অনুমতি দিয়েছে ডিসিজিআই বা ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া। ইটোলিজুম্যাব ইনজেকশনের ২৫ এমজি/৫ এমএল সলিউশন, একিউট রেস্পিরাটরি ডিস্ট্রেস সিন্ড্রোমে বিশেষভাবে কার্যকর বলে প্রমাণিত। এছাড়াও সাইটোকাইন রিলিজ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই ড্রাগ ব্যবহার করা হচ্ছে।
যতদিন না পর্যন্ত স্থায়ী প্রতিষেধক আবিষ্কৃত হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত রোগলক্ষণ গুলির সঙ্গে লড়তে প্রয়োজন শক্তিশালী ওষুধ যা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর হারকে কম করবে। কিরণ মজুমদার আরো জানিয়েছেন এই ওষুধ নির্মাণের শুরু থেকেই তাদের মনে হয়েছিল কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর দেহে মেডিকেল পরিভাষায় যাকে সাইটোকাইন সিনড্রোম বলে সেটি ভাইরাসটিকে মারাত্মক করে তুলেছে।
তাই নির্দিষ্টভাবে তার চিকিৎসা করার লক্ষ্যেই এই ড্রাগ বানিয়েছে বায়োকন। তিনি এও জানান যে প্রথমদিকে ভারতে এই ড্রাগ অনুরূপ একটি কম্বিনেশন তৈরি করা হত সোরিয়াসিস রোগের চিকিৎসার জন্য। করোনা ভাইরাস আক্রান্ত শরীরে একটি অটোইমিউন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় যার ফলে প্রচুর পরিমাণে সাইটোকাইন ক্ষরণ হয়। অলিজুম্যাপ যা এই ক্ষরণকে নিয়ন্ত্রণে রাখে সেটিই ড্রাগের প্রধান উপকরণ। ভবিষ্যতে এর বহুল প্রয়োগ এডভান্স স্টেজের করোনা রোগীর এআরডিএস (একিউট রেস্পিরাটরি ডিস্ট্রেস) নিরাময়ে গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ হিসেবে সাব্যস্ত হবে বলে মনে করছে সংস্থাটি।

You may also like

Leave a Reply!