প্রাণনাশের হুমকি পেলেন রাজ্য সরকারের মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় (Alapan Bandyopadhyay)। মঙ্গলবার এই হুমকি চিঠি পাঠানো হয়েছে স্পিড পোস্টে। চিঠি পাঠানো হয়েছে আলাপনবাবুর স্ত্রী সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে। তিনি ঘটনাচক্রে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।
এই ঘটনাটি নিয়ে অবশ্য আলাপনবাবু কোনও মন্তব্য করতে চাননি। যিনি আপাতত রাজ্য সরকারের মুখ্য উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন। ইতিমধ্যেই পুলিশ একটি মামলা চালু করে তদন্ত শুরু করেছে।
চিঠিতে যা লেখা আছে তার মর্মার্থ, যে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় নিহত হবেন। কেউ ওনাকে বাঁচাতে পারবে না। চিঠিতে একজনেরও সই রয়েছে। সইয়ের নাম জনৈক গৌরহরি মিশ্রের। এই গৌরহরি মিশ্র কে তাই নিয়েও তদন্ত শুরু হয়েছে। সইয়ের নীচে রয়েছে কেয়ার অব মহুয়া ঘোষ। সম্ভবত তিনিও রাজাবাজার সায়েন্স কলেজের কেমিক্যাল টেকনোলজি বিভাগে কর্মরত। সেটাও স্পষ্ট নয়।
আরো পড়ুন
সঙ্কটমুক্ত নন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়
সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালের প্রিন্সিপাল বেঞ্চের (দিল্লি) নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছেন রাজ্যের অবসরপ্রাপ্ত মুখ্যসচিব আলাপন বন্দোপাধ্যায়। আজ, বুধবারই সেই মামলার শুনানি রয়েছে।
আলাপনবাবুর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করে ডিপার্টমেন্ট অব পার্সোনেল অ্যান্ড ট্রেনিং। গত ২৮ মে এই সমস্যার শুরু। ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’এর পর ওই দিন কলাইকুণ্ডায় প্রধানমন্ত্রী একটি রিভিউ বৈঠক ডেকেছিলেন। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৎকলীন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিত থাকার কথা ছিল।
কিন্তু, ক্ষয়ক্ষতি সামলানোর জন্য ব্যস্ত থাকায় তিনি প্রধানমন্ত্রীর সভায় উপস্থিত হননি আলাপন। এরপরই তাঁর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তাঁকে দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়। তাঁকে দিল্লিতে নর্থ ব্লকে হাজির হতে বলে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেখানে উপস্থিত না হয়ে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
নির্ধারিত সময় দিল্লিতে যোগ না দেওয়ায় রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে শো-কজ করে কেন্দ্র। এরপর ডিপার্টমেন্ট অব পার্সোনেল অ্যান্ড ট্রেনিং-এর তরফে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করা হয়। এই অনুসন্ধান প্রক্রিয়া খারিজ করার জন্য সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালের কলকাতা বেঞ্চে সম্প্রতি মামলা করেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
