Home বঙ্গ করোনা আবহে ছাত্রছাত্রীদের পড়াশুনার ঘাটতি পূরণ করতে চালু হচ্ছে ১০০ দিনের ব্রিজ কোর্স

করোনা আবহে ছাত্রছাত্রীদের পড়াশুনার ঘাটতি পূরণ করতে চালু হচ্ছে ১০০ দিনের ব্রিজ কোর্স

by banganews

করোনা আবহে দীর্ঘদিন ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনার সঙ্গে এক প্রকার প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়েছে।  যাতে তাদের ক্ষতি হয়েছে অপরিসীম।  পঠন-পাঠনের সেই ঘাটতি পূরণের জন্য নতুন শিক্ষাবর্ষে অফলাইনে 100 দিনের ব্রিজ কোর্স এর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

প্রায় দেড় বছরেরও বেশি সময় স্কুল বন্ধ থাকায় নিয়মিত পড়ার অভ্যাস চলে গেছে।  ষষ্ঠ ও অষ্টম শ্রেণীতে পাঠ্য হিসেবে করোনাভাইরাস জায়গা পাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।  পাঠ্যক্রম কমিটি সূত্রে রাজ্য শিক্ষা দপ্তর আগেই জানিয়েছিল অফলাইনে ক্লাস শুরু হলে সমস্ত শ্রেণীতে পুরনো পড়া আরেকবার ঝালিয়ে নিতে হবে।  এ পুরনো পড়া ঝালিয়ে নেওয়ার জন্যই চালু করা হয়েছে ব্রিজ কোর্স।

রাজ্য সরকারের পাঠ্যক্রম কমিটির চেয়ারম্যান অভীক মজুমদার এর মতে , ‘এই ব্রিজ কোর্সে ১০০ দিনের মধ্যে শেষ করতে হবে। নাম দেওয়া হয়েছে ১০০ দিনের সেতু পাঠ্যক্রম। তা পড়ানোর জন্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।’

২ জানুয়ারি বই দিবসে  ছাত্রছাত্রীদের নতুন শ্রেণির বই দেওয়া হয়। অভীকবাবু জানান, ওই দিনেই প্রতিটি বিষয়ের সেতু-পাঠ সংবলিত আলাদা বই দেওয়া হবে।

শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশ মতে , এই পাঠ্যক্রমে সব থেকে বেশি উপকৃত হবে গ্রামাঞ্চলের পড়ুয়ারা, যারা অনলাইন ক্লাসের সুযোগ পায়নি।

১৬ নভেম্বর নবম থেকে দশমের আংশিক ক্লাস চালু হলেও প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়ারা এখনও ঘরবন্দি। করোনার আগে যে-পড়ুয়া ষষ্ঠ শ্রেণিতে ছিল, এখন সে উঠে গিয়েছে অষ্টম শ্রেণিতে। ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি না-জানলে পরবর্তী ক্লাসে তাদের অসুবিধা হতে পারে। তাই সেই সব পাঠ্যাংশ নিয়েই তৈরি হচ্ছে সেতু পাঠ্যক্রমের বই।

শিক্ষা দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘কোন কোন বিষয় ছাত্রছাত্রীদের বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে, তাদের সঙ্গে কথা বলে শিক্ষকেরা তার হদিস পেয়ে গিয়েছেন। ব্রিজ কোর্সের বইয়ে সেই সব পাঠ্যাংশই রাখা হচ্ছে। একশো দিনের মধ্যে এই সব বই পড়ানো শেষ করে তার পরেই নতুন ক্লাসের বই পড়ানো শুরু হবে।’

উত্তরবঙ্গ সফর শুরু, মালদহের জন্য একগুচ্ছ চমক মমতার

কিন্তু প্রশ্ন উঠছে,  একশো দিন অর্থাত্‍ তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে ব্রিজ কোর্স পড়ানোর পরে নতুন ক্লাসের পাঠ্যক্রম শেষ করা যাবে তো? জানা যাচ্ছে,  করোনার দরুন পাঠ্যক্রম বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কমানো হয়েছে। তাই  অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গেছে,  স্কুল পুরোপুরি খুলে গেলেই সেতু পাঠ্যক্রম চালু হবে।

You may also like

Leave a Reply!