মঙ্গলগ্রহে এই প্রথম মহাকাশযান পাঠাতে চলেছে কোন আরব দেশ। সংযুক্ত আরব এমিরেট বুঝতে পেরেছে আগামীদিনে জ্বালানি তেলের ব্যবসা আর যথেষ্ট নয়। তাই তারাও নেমে পড়েছে মার্স মিশনে। পাঁচ বছরের বেশি সময় নিয়ে তারা তৈরি করেছে একটি মহাকাশযান। মানব ইন এই মহাকাশযান টির নাম দেয়া হয়েছে ‘আমাল’। আরবি ভাষায় যার অর্থ আশা।
আরো পড়ুন:-পৃথিবীর বাইরে মানুষের বাসযোগ্য গ্রহের সন্ধান পেলেন বিজ্ঞানীরা!
বিজ্ঞানীদের মতে মহাকাশযানটি মঙ্গল গ্রহে পৌঁছতে আনুমানিক সময় লাগবে সাত মাস। প্রসঙ্গত, আগামী সপ্তাহ থেকে মহাকাশ যানটি জ্বালানি ভর্তি করার কাজ শুরু হবে। মঙ্গল গ্রহের কক্ষপথে একবার ঘুরতে মহাকাশযানটির সময় লাগবে ৫৫ ঘন্টা। চারিদিকে ঘুরে মঙ্গল গ্রহ সম্পর্কে নানান তথ্য সংগ্রহ করবে এই ‘আমাল’। এই প্রকল্পটির পরিচালক সারাহ আলী আমিরী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন দেশের তরুণ বিজ্ঞানীদের জন্য এটি একটি নতুন দ্বার উন্মুক্ত করল। করণা ভাইরাসের কারণে এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত সবাইকে ওয়ারেন্টি নিয়ে থাকতে হয়েছে তাই ইতিমধ্যেই এই মহাকাশযানে যাত্রা একবার পিছিয়েছে। প্রসঙ্গত আগামী ১৪ জুলাই জাপানের প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত দ্বীপ তানেগাশিমা থেকে মহাকাশযান টির উৎক্ষেপণ করার কথা হয়েছে। জাপানের রকেট দ্বারা তৈরি মহাকাশযানটিতে তিন ধরনের সেন্সর কাজ করবে। মহাকাশযানটিতেখুব উচ্চ রেজোলিউশন সম্বলিত একটি মাল্টিব্যান্ড ক্যামেরাও থাকবে। যা অত্যন্ত ক্ষুদ্র-সূক্ষ্ম বস্তুর ছবিও তুলে আনতে পারবে। যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটি এই প্রকল্পে সহযোগিতা করেছে। আল আমিরি জানিয়েছেন, এই মিশনের অন্যতম কাজ হবে জল তৈরিতে দরকার যে দুটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান তা কেন মঙ্গল গ্রহের বায়ুমণ্ডল এ থাকতে পারছে না তা অনুধাবন করা। প্রসঙ্গত গত বছর একটি রুশ মহাকাশযানে করে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে গিয়েছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর প্রথম কোন নাগরিক। তবে ১৯৮৫ সালে মার্কিন মহাকাশ যানে প্রথম আরব হিসেবে মহাকাশে গিয়েছিলেন সৌদি আরবের যুবরাজ সুলতান সালমান আল- সদ।
আরো পড়ুন:- সাইকেল নিয়ে উঠেছেন মেট্রোতে!!
সে দেশের মোহাম্মদ বিন রশিদ স্পেস সেন্টারে তৈরি হয়েছে এই মহাকাশযানটি।