সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে রাস্তায় চলাফেরা করছে সাধারণ মানুষ। লকডাউনের পাশাপাশি আনলক ১ শুরু হয়েছে। রাজ্য পরিবহন দপ্তর সরকারি বাস নামিয়েছে কলকাতার রাস্তায় পাশাপাশি বেসরকারি বাসও চলছে। ট্রেন এখনও চালু না হলেও কলকাতা মেট্রো ট্রায়াল রান শুরু। স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেন চালানো হচ্ছে দমদম থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত। মেট্রো রেলের কর্মীরাই যাতায়াত করতে পারছেন।
আরো পড়ুন- লরিতে বেঞ্চ লাগিয়ে শুরু হলো বাস : কলকাতার পুরোনো পরিবহন ব্যবস্থা কেমন ছিল?
হঠাৎই এক ব্যক্তি সাইকেল নিয়ে মেট্রো রেলে উঠে পড়েছে। এই ছবি সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। নির্দিষ্ট দূরত্ব বিধি মেনে সিটে বসে রয়েছেন যাত্রীরা। আর এক ব্যক্তি কামরার মধ্যেই সাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। প্রত্যেকের মুখেই মাস্ক। ছুটছে মেট্রো। সাইকেল নিয়ে মেট্রোর কামড়ার মধ্যে উঠে পড়েছেন ওই ব্যক্তি। এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে নেটিজেনদের মধ্যে। লকডাউনের মধ্যে মেট্রো যেখানে বন্ধ সেখানে কী করে এক যাত্রী সাইকেল নিয়ে ট্রেনে উঠে পড়লেন! তাঁদের প্রশ্ন, কলকাতার ঐতিহ্য পাতাল রেলে ওই ব্যক্তি সাইকেল নিয়ে উঠলেন অথচ কারও নজরে এল না! ট্রেনের কোচে তো আরও যাত্রী বসে রয়েছেন, তারা কেন কেউ আটকালেন না!
আরো পড়ুন – ধাপে ধাপে তিনটি পর্যায়ে আনলক প্রক্রিয়া কার্যকরী হবে জানা যাচ্ছে
ওই ব্যক্তি যে মেট্রোরই কর্মী সে ব্যাপারে একপ্রকার নিশ্চিত মেট্রোর কর্তারা। বিষয়টি তাদের নজরে আনলে জানানো হয়েছে, দ্রুত ওই কর্মীকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অন্যদিকে প্রশ্ন উঠেছে স্টেশনে কর্তব্যরত আরপিএফের ভূমিকা নিয়েও। কারণ ওই ব্যক্তি তো হঠাৎ করে সাইকেল নিয়ে ট্রেনের কামরায় উঠে পড়েননি। তাঁকে স্টেশনে ঢুকতে হয়েছে। এফসি গেট পার করতে হয়েছে। সিঁড়ি দিয়ে সাইকেল নিয়ে উঠতে বা নামতে হয়েছে। এবং তা অন্য মেট্রো কর্মীদের সামনে দিয়েই। তবু অন্য মেট্রোর কর্মী বা আরপিএফরা কেন তাঁকে সেই সময় আটকালেন না সেই প্রশ্নই উঠেছে। মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা বিষয়টি দেখছি। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”