উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া এলাকায় পুলিশি তদন্তে বাধা ও কর্তব্যরত অফিসারের ওপর হামলার অভিযোগে এদিন গ্রেফতার হল ১৬ জন স্থানীয় বাসিন্দা। গতকাল সেই অঞ্চলে আকস্মিকভাবে এক কিশোরীর রহস্য মৃত্যুকে ঘিরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। করোনা সংক্রমণের সংকটময় অবস্থতেও প্রশাসনিক ব্যর্থতা ও দায়িত্বজ্ঞান প্রশ্নের মুখে। স্থানীয় কিশোরীর মৃত্যুতে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে সোনাপুর এলাকা।
আরও পড়ুন : বিদ্যুৎ বিলে কতটা ছাড় দিল CESC
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় অচিরেই, অবরোধ করা হয় জাতীয় সড়ক, পুলিশ বিষয়টি সামাল দিতে এলে তাদের লক্ষ্য করেই শুরু হয় ইটবৃষ্টি। সময় এগোনোর সাথে সাথে জনগণের ক্ষোভ বাড়তে থাকে, তারা বহু গাড়িতে ভাঙচুর চালায় এমনকি আগুন লাগিয়ে দেয়, চলে বোমাবাজিও। এদিন পুলিশের কাজে বাধা, সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস, পুলিশ আধিকারিককে নিগ্রহের মতো ধারায় একাধিক লোককে অভিযুক্ত ও আটক করে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে স্বতপ্রণোদিত মামলা রজু করা হয়েছে স্থানীয় থানার তরফে।
আরও পড়ুন : দেশের করোনা পরিস্থিতি
প্রথম দিকে সন্দেহ করা হচ্ছিল কিশোরীর মৃত্যুর কারণ শারীরিক নিগ্রহ, তবে তৎপরতার সঙ্গে মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হলে আজকে তার রিপোর্ট এসে পৌঁছায়। পোস্টমর্টেমে জানানো হয়েছে ১৬ বছরের ওই কিশোরীর মৃত্যুর কারণ বিষক্রিয়া, এবং স্পষ্টত তাতে উল্লেখ রয়েছে তার শরীরে ধর্ষণের কোনো প্রমাণ মেলেনি। পুলিশকে মারধর, পুলিশ ভ্যানে অগ্নিসংযোগের চেষ্টা, ও প্রশাসনিক কাজে হস্তক্ষেপের জন্য যে ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করা কয়েছে বলে ইসলামপুরের পুলিশ সুপার জানিয়েছেন। তাদেরকে আজকে চোপড়া থানা থেকে ইসলামপুর মহকুমা আদালতে তোলা হবে।
গতকালকের সেই ধুন্ধুমার কাণ্ডে আরও কারা জড়িত ছিল তা জানতে অভিযুক্তদের পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার দাবিও জানানো হয়েছে।