কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপের পর থেকেই সরাসরি পাক মদতে উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরে শান্তি শৃঙ্খলা ফেরত আনতে জঙ্গী দমনে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত সরকার। গত একমাস যাবত বিভিন্ন সেক্টরে সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষে নিকেশ হয়েছে জন পঞ্চাশেক আতঙ্কবাদী। দুষ্কৃতীদের এলোপাথাড়ি গুলিতে শহীদ হয়েছেন কয়েকজন সিআরপিএফ জওয়ান।
আরও পড়ুন : করোনা আক্রান্ত বর্ষীয়ান কবি সমাজকর্মী
আজ সকালে ফের একবার জম্মু-কাশ্মীরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সন্ত্রাস দমন শাখার একটি গোপন অভিযানে খতম হল তিন জঙ্গী। উপত্যকার কুলগাম জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিহত হয় এই দুইজন। কাশ্মীরের এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, কুলগাম জেলার নাগনাদ অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের নিশ্চিত খবর ছিলো সেনাবাহিনীর কাছে। গোয়েন্দা মারফত পাওয়া এই সূত্র ধরে সেই অঞ্চলে চিরুনি তল্লাশি চালায় সুরক্ষা বাহিনী। ভারতীয় সেনা কাছাকাছি আসামাত্রই সচেতন হয়ে পড়ে জঙ্গীরা। দ্বিপাক্ষিক গুলিযুদ্ধ ভয়ানক আকার ধারণ করে। আকস্মিক এই ঘটনায় অপ্রস্তুত জঙ্গিরা সশস্ত্র-প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ভারতীয় সেনার সঙ্গে লড়াইয়ে প্রাণ হারায়।
আরও পড়ুন : আজ উচ্চমাধ্যমিকের রেজাল্ট, জানা যাবে অনলাইনে
এর আগেও বহুবার তল্লাশি দল লুকোনো জঙ্গিদের সহজ শিকার হয়েছে, তাই এক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করে এগিয়েছে সেনাবাহিনী, ফলাফলও মিলেছে হাতেনাতে। গুলিবিদ্ধ মৃত জঙ্গিদের লাশ শনাক্তকরণের জন্য পাঠানো হয়েছে। এখনো পর্যন্ত তাদের নাম-পরিচয় বা তারা কোন জঙ্গী গোষ্ঠীর সদস্য তা জানা যায়নি। কাশ্মীরে ক্রমবর্ধমান আতঙ্কবাদী কার্যকলাপ ও অন্যদিকে কঠোর হাতে ভারত সরকারের বিদ্রোহ দমন গত কয়েক মাস যাবত উপত্যকায় শান্তি বিঘ্নিত করেছে, সেখানকার সাধারণ মানুষের জনজীবন বিপর্যস্ত।