১৯৮৬ সালের ২৬ এপ্রিল তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্গত ইউক্রেনের চেরনোবিল শহরে যে ভয়াবহ পারমাণবিক দুর্ঘটনা ঘটেছিল তা আজও ভোলেনি বিশ্ব। আপাতভাবে ৩১ জনের মৃত্যু হলেও বিস্ফোরণের ফলে সৃষ্ট তেজস্ক্রিয়তার কবলে পড়েছিলেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। রাতারাতি এক জনবিহীন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল চেরনোবিল। সেই চেরনোবিল এবার রাশিয়ার দখলে। স্বাভাবিক ভাবেই মাথাচাড়া দিয়েছে পরমাণু যুদ্ধের আশঙ্কা।
আশঙ্কা প্রকাশ করে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জানিয়েছেন, ”আমাদের সেনারা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করছে যাতে ১৯৮৬ সালের ট্র্যাজেডি আর না ঘটে।” তিনি বলেন, এটা সমগ্র ইউরোপের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঘোষণা। এই প্রসঙ্গে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের অফিসের এক উপদেষ্টা মিখাইলো পোডোল্যাক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জানান, রাশিয়ার বাহিনী চেরনোবিলের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র দখলে নিয়ে নিয়েছে। ফলে উদ্বেগ আরও বেড়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্যান ট্রাম্প! লঞ্চ করলেন নিজস্ব সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ
এখনও পর্যন্ত সব মিলিয়ে ইউক্রেনে ১৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে রাশিয়ার হামলায়। তাঁদের মধ্যে ১০ জন সেনা আধিকারিক রয়েছেন। এছাড়াও আহত হয়েছেন ৩১৬ জন। অন্যদিকে বাইডেন জানিয়েছেন, যদি পুতিন ইউক্রেনের পরে কোনও ন্যাটো গোষ্ঠীভুক্ত দেশে ঢুকে পড়ে তাহলে তাঁদের জবাব দেবে ওয়াশিংটন। ক্রমশই ঘোরাল হচ্ছে পরিস্থিতি।